জাতীয় ভোটার দিবস ২রা মার্চ

 জাতীয় ভোটার দিবস বাংলাদেশে পালিত একটি জাতীয় দিবস। দিবসটি ২ মার্চ পালিত হয়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ভোটাধিকার সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ২রা মার্চ থেকে দিবসটি পালিত হচ্ছে।


ভোটার দিবসের ইতিহাস

জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হতো ১লা মার্চ। ২০১৮ সালের এপ্রিল অনুষ্ঠিত মন্ত্রীপরিষদের বৈঠকে "খ" শ্রেণীভুক্ত দিবস হিসেবে ১লা মার্চকে জাতীয় ভোটার দিবস হিসেবে ঘোষণা ও উদযাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। পরে একই বছরের ৭ এপ্রিল মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে ১লা মার্চ তারিখে "জাতীয় ভোটার দিবস" ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ১লা মার্চ জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করে এবং ২রা মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

আরো পড়ুন ঃ বিশ্ব মা দিবস কত তারিখ ২০২৪ খ্রিঃ

জাতীয় ভোটার দিবসের গুরুত্ব

ভোট হল অধিকার, নির্বাচনের দ্বারা ক্ষমতার পালাবদলের হাতিয়ার, 'ভোটার হবো নিয়ম মেনে' ভোট দিবো যোগ্য' জনে এই শ্লোগানেই আজ ২রা মার্চ পালিত হয় ভোটার দিবস। নির্বাচন কমিশন এই দিবসকে সফল করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সারা দেশে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়ে থাকে। মূলত জনসাধারণের মধ্যে ভোটার হওয়ার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি এ কর্মসূচির লক্ষ্য। এ কার্যক্রমের সঙ্গে ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিষয়টি সম্পৃক্ত রাখা হয়। 

মার্কিন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও দার্শনিক টমাস জেফারসনের মতে, we do not have government by the majority, we have government by the majority who participatr. গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে এবং প্রতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সব ভোটারযোগ্য নাগরিকের অংশগ্রহণ অতীত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভোটার হওয়ার অধিকার একটি নাগরিক অধিকার, সর্বজনীন অধিকার। ভোটারদের জন্য একটি দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যে দিনটি নির্বাচন কমিশন বা অন্য কারো হবে না হবে শুধু ভোটারদের জন্য। জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার যে সেবা নির্বাচন কমিশন দেয়, সেটাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারে মাঠে পর্যায়ের অফিসে জনগণকে দেওয়া ওয়ান স্টপ সার্ভিস।

আরো পড়ুন ঃ আয়াতুল কুরসী ও সূরা হাশরের শেষের ৩ আয়াত বাংলা অর্থসহ ফযীলত 

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সবচেয়ে বড় খুঁটি ভোট ব্যবস্থা। জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটে ভোটে। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ সেই । সেই মালিকেরাই পাঁচ বছর পর পর এলাকার মেম্বার ,চেয়ারম্যান এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ও সংসদ  সদস্য সহ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা ও জাতীয় সংসদে পাঠান।

সংসদ- সদস্য জনগণের প্রতিনিধি হিসেবেই আইন প্রণয়নসহ বিভিন্ন নীতি নির্ধারণ করেন। আবার পাঁচ বছর পরপর তারা জনগণের কাছে তাদের প্রতিশ্রুতি ও কাজের খতিয়ান তুলে ধরে। ভোটের মাধ্যমে জনগণ নির্ধারণ করেন তারা আবার আরো পাঁচ বছর থাকতে পারবেন নাকি নতুন কেউ সরকার গঠন করবে। এটাই সর্বজনীন গণতান্ত্রিক রীতি। জনগণের সঙ্গে সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের এই সম্পর্ক স্থাপনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম  ভোট।

আরো পড়ুন ঃ জান্নাত লাভ ও আল্লাহর ভালোবাসা সম্পর্কিত দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত

গণতন্ত্র, নির্বাচন, ভোটাধিকার বিষয়ে জনসাধারণ, বিশেষত তরুণদের মধ্য সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিবছর জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপনের গুরুত্ব রয়েছে। দিবসটি মূলত গন সচেতনতা ও প্রচারমূলক হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টির লক্ষ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিবস। জাতীয় ভোটার দিবস থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে। কারণ এই দিন থেকে হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হলে আলাদা প্রচারণার দরকার হবে না। মানুষ জেনে যাবে, প্রতি বছর ২রা মার্চ ভোটার দিবসে হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়। এতে অহেতুক ভোটার ভোগান্তি কমে যাবে। দুর্গম হাওড়,  চরাঞ্চল ও পাহাড়ি অঞ্চলের নাগরিকদের জন্য বিশেষ কার্যক্রম গহন করা যেতে পারে।

ধন্যবাদ***

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url