কিয়ামতের ১৩১টি আলামত সম্পর্কে বিস্তারিত

 আজ এই আর্টিকেলটিতে কেয়ামতের বড় ১০টি আলামত প্রকাশ পাওয়া শুরু হওয়ার আগে প্রকাশিত হবে তার সংখ্যা ১২টি। যেগুলি কিয়ামতের বড় ১০টি আলামত প্রকাশ পাওয়া শুরু হওয়ার পরে প্রকাশিত হবে তার সংখ্যা ৯ টি। যেগুলি কিয়ামতের বড় ১০টি আলামত প্রকাশ পাওয়া শুরু হওয়ার আগে না পরে প্রকাশিত হবে তা স্পষ্ট নয় তার সংখ্যা ২৪ টি। এবং প্রথম ভাগ যেগুলি প্রকাশিত হয়েছে তার সংখ্যা ৮৬ টি, ১৩১ টি কেয়ামতের আলামত সম্পর্কে আজ বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

আরো পড়ুনঃ কবরের আযাব থেকে মুক্তি, কবর জিয়ারত, কবরবাসীর জন্য ক্ষমা সম্পর্কে বিস্তারিত 

প্রথম ভাগে  কেয়ামতের আলামত যেগুলি প্রকাশিত হয়েছে তার সংখ্যা ৮৬ টি। 

১। শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়াত প্রাপ্তি।

২। নবী মুহাম্মদ (সাঃ) ইন্তেকাল

৩। চন্দ্র বিদারণ।

৪। সাহাবা যুগের অবসান।

৫। বাইতুল মাকদিস (জেরুজালেম) বিজয়।

৬। ছাগলের কুআস রোগের ন্যায় মানুষের ব্যাপক প্রানহানি।

৭। একের পর এক ফেৎনার আবির্ভাব।

৮। স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল আবিষ্কার।

৯। মুসলমানদের আভ্যন্তরীণ সিফফীন যুদ্ধ।

১০। ভ্রষ্ট খারেজী সম্প্রদায়ের আত্মপ্রকাশ।

১১। মিথ্যা নবুওয়াত দাবিদারদের আত্মপ্রকাশ।

১২। শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছলতার জয়- জয়কার।

১৩। হেজায ভূমিতে বিশাল অগ্নি প্রকাশ।

১৪। তুর্কিদের সাথে মুসলমানদের যুদ্ধ।

১৫। চাবুকে আঘাতকারী অত্যাচারী ব্যক্তিবর্গের আবির্ভাব।

১৬। হানাহানি, সংঘাত এবং ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ।

১৭। মানুষের হৃদয় থেকে আমানতদারী তথা বিশ্বস্ততার বিদায়।

১৮। পূর্ববর্তী পথভ্রষ্ট জাতির পদাঙ্ক অনুসরণ।

১৯। দাসীর গর্ভ থেকে মনিবের জন্মগ্রহণ।

২০। স্বল্প কাপড় পরিহিত নগ্ন মহিলাদের আত্মপ্রকাশ।

২১। সুউচ্চ বাড়িঘর নির্মাণে নগ্নপদ আরব্য রাখালদের প্রতিযোগিতা।

২২। ব্যাক্তি বিশেষে সালাম প্রদান।

২৩। বাণিজ্য ব্যাপক আকার ধারণ।

২৪। স্বামীর সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবসায়ী স্ত্রীর অংশগ্রহণ।

২৫। সারা বাজারে মুষ্টিমেয় ব্যবসায়ীর প্রভাব।

২৬। ব্যবহারে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান।

২৭। ব্যবহারে সত্য সাক্ষ্য গোপন।

২৮। দ্বীন সম্পর্কে মূর্খতা ব্যাপক হারে আকার ধারণ।

২৯। ব্যায়কুন্ঠতা  ও কার্পণ্যতা ব্যাপক আকার ধারণ।

৩০। ব্যাপক হারে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করুন।

৩১। প্রতিবেশীর সাথে দুর্ব্যবহার।

৩২। অশ্লীলতা ব্যাপক আকার ধারণ।

৩৩। বিশ্বস্তকে বিশ্বাসঘাতক এবং বিশ্বাসঘাতককে বিশ্বস্ত জ্ঞান।

৩৪। মর্যাদাবান ব্যক্তিদের বিলুপ্তি এবং অধীনস্থতা প্রকাশ।

৩৫। সম্পদ অর্জনে হালাল-হারাম বিবেচনার বিলুপ্তি।

৩৬। যুদ্ধলব্ধ সম্পদকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ জ্ঞান।

৩৭। আমানতের বস্তুকে খরচের বস্তু জ্ঞান।

৩৮। যাকাত আদায়কে জরিমানা জ্ঞান।

৩৯। আল্লাহর জ্ঞান ছেড়ে পার্থিব জ্ঞান অর্জনে  মনোনিবেশ।

৪০। মায়ের অবাধ্য হয়ে স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করুন।

৪১। জন্মদাতা পিতাকে দূরে ঠেলে দিয়ে বন্ধুবান্ধব কে কাছে আনয়ন।

৪২। আল্লাহর ঘর মসজিদে উচ্চস্বরে হই হুল্লোড়।

৪৩। গোত্রীয় সম্প্রদায়ের পাপিষ্ঠদের নেতৃত্ব দান।

৪৪। জাতির নেতৃত্বে  সর্ব নিকৃষ্ট ব্যক্তিদের আগমন।

৪৫। আক্রমণের ভয়ে মানুষকে সম্মান দেখানো।

৪৬। মেয়েদের সাথে অবাধ মেলামেশা বৈধ জ্ঞান।

৪৭। রেশমি কাপড়ের ব্যাপক ব্যবহার।

৪৮। মদ্যপান হালাল জ্ঞান।

৪৯। গান বাদ্য ও নর্তকীর নৃত্য বৈধ জ্ঞান।

৫০। ফেতনার আধিক্য মানুষের মৃত্যু কামনা।

৫১। সকালে মুমিন থাকবে বিকেলে কাফের হয়ে যাবে এমন কালের আগমন।

৫২। মসজিদ গুলোকে অধিক সুসজ্জিত করার প্রতিযোগিতা।

৫৩। ঘরবাড়ি ডিজাইন এবং রকমারি কারুকার্য করণ।

৫৪। অধিকারে আকাশ থেকে বজ্র বর্ষণ।

৫৫। ব্যাপক হারে লেখালেখি এবং পুস্তক প্রকাশ।

৫৬। মুখ দিয়ে সম্পদ উপার্জন এবং তা নিয়ে গর্ব করা।

৫৭ কোরআন  ছেড়ে অন্য গ্রন্থীদের প্রচার প্রসার।

৫৮। জ্ঞানী এবং দ্বীনের বাহকদের অভাব এবং কোরআন পাঠকের প্রভাব।

৫৯। ছোট ও স্বল্পজ্ঞানীদের কাছে এলেম অন্বেষণ।

৬০। আকস্মিক মৃত্যুর হার বৃদ্ধি।

৬১। নির্বোধ লোকদের নেতৃত্ব।

৬২। দ্রুত গতিতে সময় পার।

৬৩। বড় বিষয়ে নিচু লোকদের বাক-যুদ্ধ।

৬৪। দুনিয়ার সবচেয়ে সৌভাগ্যশীল ব্যক্তি- লুকা ইবনে লুকা।

৬৫। মসজিদকে যাতায়াত ও পারাপারের পথ হিসাবে ব্যবহার।

৬৬। মোহরের মূল্যবৃদ্ধি অতঃপর হ্রাস।

৬৭। অশ্বের মূল্যবৃদ্ধি অতঃপর হ্রাস।

৬৮। বাজার ও দোকানপাট নিকটবর্তী হয়ে যাওয়া।

৬৯। মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সকল বিধর্মী রাষ্ট্রের একক অবস্থান।

৭০। নামাজের ইমামতিতে মুসল্লিদের ধাক্কাধাক্কি।

৭১। মুমিনের সত্য স্বপ্ন।

৭২। মিথ্যা ব্যাপক আকার ধারণ।

৭৩। পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ প্রকাশ।

৭৪। ব্যাপক হারে ভূ-কম্পন সৃষ্টি।

৭৫। নারী জাতির আধিক্য।

৭৬। পুরুষ জাতির হ্রাস।

৭৭। প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ও ব্যভিচার।

৭৮। কোরআন পড়ে বিনিময় গ্রহণ।

৭৯। ব্যাপক হারে মানুষের দেহে মাংসলতা ও সথূলতা বৃদ্ধি।

৮০। কামনা ছাড়াই সাক্ষ্য দিতে রাজি এমন লোকদের আত্মপ্রকাশ।

৮১। মানত করে, পূর্ণ করে না, এমন ব্যক্তিদের আত্মপ্রকাশ।

৮২। সমাজের উচ্চপদস্থ লোক কর্তৃক গরিবদের মাল- সম্পদ কৌশলে লুট।

৮৩। আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানের বাস্তবায়ন পরিত্যাগ।

৮৪। রোমান অর্থাৎ খ্রিস্টানদের আধিক্য এবং আরব অর্থাৎ মুসলিমদের হ্রাস।

৮৫। নিত্য নতুন আধুনিক যানবাহন (গাড়ি, বাস, ট্রেন, প্লেন ইত্যাদি) আবিষ্কার।

৮৬। মক্কা নগরীর ভবনগুলো আকাশ-সম উচু করে নির্মাণ।

আরো পড়ুনঃ আখিরাতে কল্যাণ লাভ সম্পর্কিত দোয়া অর্থসহ বিস্তারিত 

যে সব কিয়ামতের আলামত, কিয়ামতের বড় ১০টি আলামত প্রকাশ পাওয়া শুরু হওয়ার আগে প্রকাশিত হবে তার সংখ্যাটি ১২টি।

১। আহলাছ অর্থাৎ পলায়ন এবং যুদ্ধ এর ফেতনা প্রকাশ পাবে।

২। স্বচ্ছলতার ফেতনা প্রকাশ পাবে।

৩। অন্ধকার ফেতনার আবির্ভাব হবে।

৪। ইমাম মাহাদীর আবির্ভাব হবে।

৫। কাবা ঘরের দিকে ইমাম মাহদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে  আসা বিশাল নামধারী মুসলিম বাহিনী মাটির নিচে ধ্বসে যাবে।

৬। মুসলমান এবং রামোন অর্থাৎ খ্রিস্টানদের মধ্যে বৃহত্তম যুদ্ধ সংঘটিত হবে।

৭। মুসলমানরা কোনস্টানাপেল  অর্থাৎ বর্তমান তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বল বিজয় করবে। সেনাপতি মহম্মদ ফাতেহের নেতৃত্বে ইসলামের প্রাথমিক যুগে একবার বিজয় হয়েছিল। তবে শেষ জমানায় ইমাম মাহদীর বাহিনী পুনরায় তা বিজয় করবে ইনশাল্লাহ।

৮। মীরাছ অর্থাৎ ত্যাজ্য সম্পদ বন্টনের সুযোগ থাকবে না।

৯। গনিমত অর্থাৎ যুদ্ধলব্ধ সম্পদ নিয়ে আনন্দ উল্লাসের সুযোগ থাকবে না।

১০। তীর তলোয়ার এবং অশ্বের যুগ পূর্ণঃ প্রত্যাবর্তন করবে।

১১। বাইতুল মাকদিস অর্থাৎ জেরুজালেমের আশে পাশে জনবসতি বৃদ্ধি পাবে।

১২। বিনাশের সম্মুখীন হয়ে মদিনা বসতি ও আগন্তক শূন্য হয়ে যাবে।

আরো পড়ুনঃ বিপদ আপদ থেকে রক্ষা সম্পর্কিত দোয়া অর্থসহ বিস্তারিত 

যেগুলি কিয়ামতের বড় দশটি আলামত প্রকাশ পাওয়া শুরু হওয়ার পরে প্রকাশিত হবে তার সংখ্যা ৯টি।

১। মদিনা থেকে সকল কাফের মুনাফিক বের হয়ে যাবে।

২। মুসলমানদের সাহায্য বৃক্ষ কুল কথা বলবে। ৩। ৩। ৩। মুসলমানদের সাহায্য পাথর কথা বলবে।

৪। ইহুদিদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের সর্বশেষ যুদ্ধ হবে এবং মুসলিমরা বিজয়ী হবে।

৫। একটি মাত্র সেজদা সারা দুনিয়া অপেক্ষা  শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করবে।

৬। এমন বৃষ্টি, যা সকল জনপদকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। ৭। মুমিনদের রুহ ছাড়িয়ে নিতে আল্লাহর পক্ষ থেকে সুবাতাস প্রেরণ করা হবে।

৮। কেয়ামতের পূর্ব মুহূর্তে সকল মুমিনের মৃত্যু হবে।

৯। কাগজের পাতা এবং মানুষের অন্তর থেকে কোরআন উঠিয়ে নেয়া হবে।

আরো পড়ুনঃ ঈদ-ই- মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ?

কেয়ামতের বড় ১০টি আলামত প্রকাশ পাওয়া শুরু হওয়ার আগে না পরে প্রকাশিত হবে তাই স্পষ্ট নয় তার সংখ্যা ২৪ টি

১। মানুষের মাঝে ধন-সম্পদের অত্যাধিক দেখা দিবে।

২। ভূমির অভ্যন্তরীণ খনিজ সম্পদ প্রকাশ পাবে।

৩। চেহারা বিকৃতির ঘটনা বৃদ্ধি পাবে।

৪। ভূমিধ্বস এর আবির্ভাব হবে।

৫। আকাশ থেকে পাথর নিক্ষিপ্ত হবে ।

৬। ফসলহীন বৃষ্টি হবে অর্থাৎ বৃষ্টি হলেও ফসলের  বরকত হবে না।

৭। ব্যাপক ফিতনা যা আরবদের কেউ প্রায় শেষ করে দিবে।

৮। ইরাকের ফুরাত নদীতে স্বর্ণের খুনি উন্মোচিত হবে ‌।

৯। প্রকাশ্য অপরাধ করতে কিংবা অক্ষমতাকে মেনে নিতে বাধা বাধ্য করা হবে।

১০। আরব উপদ্বীপ সবুজ শ্যামল পরিবেশ এবং নদী-নালায় পূর্ণ হবে।

১১। নতুন চাঁদ বড় আকারে দেখা যাবে।

১২। সকল মুসলমান শামে হিজরত করবে।

১৩। পর্বত মালা নিজ জায়গা থেকে সরে যাবে।

১৪। কাহতান গোত্র থেকে এক মহান মান্যবর ব্যক্তির আবির্ভাব হবে।

১৫। জাহজাহ নামক ব্যক্তির আত্মপ্রকাশ ঘটবে।

১৬। চতুরস্পদ জন্তু এবং জড় বস্তুর সাথে মানুষ কথা বলবে।

১৭। লাঠির অগ্রভাগের সাথে মানুষ কথা বলবে।

১৮। জুতার ফিতার সাথে মানুষ কথা বলবে।

১৯। ঘরে কি হচ্ছে উরুর পেশি মানুষকে এর সংবাদ প্রদান করবে।

২০। কাবা ঘরে হজ্জ করা বন্ধ হয়ে যাবে।

২১। কতিপয় আরব গোত্রে মূর্তি পূজায় পূর্ণ প্রত্যাবর্তন করবে।

২২। কুরাইশ বংশের বিলুপ্তি ঘটবে।

২৩। পরবর্তী মুসলমানরা পূর্ববর্তী মুসলমানদের গালমন্দ করবে।

২৪। একজন কালো হাবশী অর্থাৎ বর্তমান ইথিউপিয়ার একজন লোকের হাতে কাবা ঘর ধ্বংস হবে।