সরকারি বেসরকারি বিদ্যালয়ে ১ম থেকে ৩য় শ্রেণীতে ভর্তির নীতিমালা ২০২৬


২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ে ১ম ও ৩য় শ্রেণীতে (এবং অন্যান্য) ভর্তির নীতিমালা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে। ভর্তি প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ অনলাইন আবেদন এবং ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে সম্পন্ন হবে, কোনো ভর্তি বা মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে না।

গুরুত্বপূর্ণ তারিখ এবং আবেদন প্রক্রিয়া

  • অনলাইন আবেদন শুরু: ২১ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ১১টা
  • অনলাইন আবেদন শেষ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, বিকেল ৫টা
  • আবেদন ফি: ১০০ টাকা (টেলিটক প্রিপেইড সিমের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে)।
  • আবেদন পোর্টাল: https://www.google.com/search?q=gsa.teletalk.com.bd
  • বিদ্যালয় পছন্দ: একজন আবেদনকারী পছন্দক্রমে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে।
  • লটারি: সরকারি বিদ্যালয়ের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হবে। বেসরকারি বিদ্যালয়ের লটারি সংক্রান্ত তথ্য পরে জানানো হবে। সরকারি বিদ্যালয়ের লটারি ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে (সম্ভাব্য) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

১ম শ্রেণীতে ভর্তির বয়সসীমা

​জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য বয়সসীমা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।

  • বয়স: শিক্ষার্থীর বয়স ৬+ বছর ধরে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।
  • ন্যূনতম বয়স: কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ০১ জানুয়ারি ২০২৬ তারিখে সর্বনিম্ন বয়স হবে ০৫ বছর। (অর্থাৎ, জন্মতারিখ হবে ০১ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত)।
  • সর্বোচ্চ বয়স: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৬ তারিখে সর্বোচ্চ বয়স হবে ০৭ বছর। (অর্থাৎ, জন্মতারিখ হবে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত)।
  • প্রমাণপত্র: বয়স যাচাইয়ের জন্য অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
  • বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী: তাদের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের অতিরিক্ত বয়সের সুবিধা দেওয়া যাবে।

 ৩য় শ্রেণীতে ভর্তির নীতিমালা

​৩য় শ্রেণী বা প্রথম শ্রেণীর পরবর্তী অন্যান্য শ্রেণীগুলোর ক্ষেত্রে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের বয়সের ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে প্রযোজ্য হবে।

  • ভর্তির পদ্ধতি: ১ম শ্রেণীর মতোই, আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে ৩য় শ্রেণীতেও অনলাইন আবেদন ও ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে।
  • বয়স নির্ধারণ: যেহেতু ১ম শ্রেণীতে সর্বনিম্ন বয়স ৬+ (১ জানুয়ারি ২০২৬ তারিখে ৫ বছর), ৩য় শ্রেণীতে ভর্তির জন্য ১ জানুয়ারি ২০২৬ তারিখে শিক্ষার্থীর বয়স ন্যূনতম ০৭ বছর থেকে ০৯ বছর পর্যন্ত হতে পারে, যা ধারাবাহিকভাবে হিসেব করা হয়।

কোটা ও অন্যান্য নীতিমালা

  • মুক্তিযোদ্ধা কোটা: সরকারি ও বেসরকারি উভয় বিদ্যালয়ে ৫% আসন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
  • শিক্ষক-পোষ্য কোটা (সরকারি): সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের ভর্তিযোগ্য সন্তানদের জন্য নিজ বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত আসন সংরক্ষিত থাকবে। তাদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে না।
  • শিক্ষক-পোষ্য (বেসরকারি): বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারী বা ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সন্তানরা সাধারণ নিয়মেই আবেদন করতে পারবে; তাদের জন্য আলাদা কোনো কোটার ব্যবস্থা নেই।
  • অন্যান্য কোটা: বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (প্রতিবন্ধী), সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী (৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ১০%) এবং লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে।
  • শাখাভিত্তিক শিক্ষার্থী সংখ্যা: প্রতি শ্রেণি শাখায় শিক্ষার্থী সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ ৫৫ জন

​ভর্তি সংক্রান্ত আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করা আবশ্যক।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url