অর্থনৈতিক নিরাপত্তায় ইসলাম ও সমাজে শাস্তি ও নিরাপত্তায় ইসলামি অর্থব্যবস্থা


ইসলামি অর্থ ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা সমাজে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বিধানে ইসলামি অর্থনীতির ভূমিকা উল্লেখ করতে পারবেন।

ভূমিকা 

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন দর্শন ও পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। তাই ইসলাম বিশ্বমানবের স্থায়ী শাস্তি প্রতিষ্ঠায় ও কল্যাণময় অর্থ ব্যবস্থা পেশ করেছে। একমাত্র ইসলামি অর্থনীতিই বিশ্বমানবতাকে প্রকৃত মনুষ্যত্বের উন্নত মর্যাদায় অভিষিক্ত করতে পারে। তাছাড়াও মানুষের সকল প্রকার অর্থনৈতিক সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান ও স্থায়ী কল্যাণ সাধন করতে পারে। মূলতঃ ইসলামের অর্থ-দর্শন জীবন দর্শনের একটি অপরিহার্য অংশ। তাই ইসলামি জীবন দর্শন, ধর্ম, কৃষ্টি ও সভ্যতা এবং অর্থনীতি একই সূত্রে গাঁথা। এ জন্যই অর্থ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে সমাজে পরিপূর্ণ শান্তি ও নিরাপত্তা স্থাপিত হতে পারে। অপরপক্ষে পাশ্চাত্যের মানব রচিত পুঁজিবাদী ও সমাজবাদী অর্থ ব্যবস্থা মানবতার কল্যাণ সাধনে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

ইসলামি অর্থব্যবস্থা কী

ইসলামি অর্থনীতি কি কোন পদ্ধতি বা ব্যবস্থা, না বিধিবদ্ধ শাস্ত্র বা বিজ্ঞান, এ ব্যাপারে কোন কোন অর্থনীতিবিদদের মধ্যে মতভেদ দেখা যায়। বস্তুত ইসলামি অর্থনীতি একটি সিস্টেম এবং বিধিবদ্ধ শাস্ত্র ও বিজ্ঞান উভয়ই। ইসলামি অর্থব্যবস্থা সমাজবিজ্ঞানের একটি শাখা। আধুনিক অর্থনীতির মতোই ইসলামি অর্থনীতিও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন কোন ব্যক্তির আচরণ নিয়ে আলোচনা করে না। তবে ইসলামি অর্থনীতিতে আধুনিক অর্থনীতির স্বার্থপরতা ও উদাসীনতার পরিবর্তে নৈতিক মূল্যবোধে সক্রিয়। ইসলামি অর্থনীতির সংজ্ঞা হিসেবে ইসলামি অর্থনীতিবিদগণ যে সকল সংজ্ঞা দিয়েছেন, তার সারবস্তু হচ্ছে, "যে সমাজবিজ্ঞান ইসলামি ভাবধারায় অনুপ্রাণিত জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক সমস্যা পর্যালোচনা করে, তা-ই ইসলামি অর্থনীতি।" অপরদিকে যে শাস্ত্র মানব জীবনের দৈনন্দিন অর্থনৈতিক কার্যাবলী পর্যালোচনা করে, তা আধুনিক অর্থশাস্ত্র হিসেবে সংজ্ঞায়িত। এতে মূল্যবোধ ও নৈতিকতার কোন স্থান নেই।

সমাজে শাস্তি ও নিরাপত্তায় ইসলামি অর্থব্যবস্থা

ইসলামি অর্থ ব্যবস্থা আধুনিক ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক দুই চরম ব্যবস্থার মধ্যবর্তী এক সুষ্ঠু ও সুবিচারপূর্ণ অর্থব্যবস্থা। ইসলামি অর্থব্যবস্থায় সম্পদ এককেন্দ্রিক না করে সুষম বণ্টনের ব্যবস্থা রয়েছে। সূতরাং ইসলামি অর্থব্যবস্থা বাস্তবায়িত হলে সামাজিক শাস্তি ও নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ বিরাজ করবে। সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ইসলামি অর্থ ব্যবস্থার অবদানগুলো নিম্নরূপ-

দারিদ্র্য বিমোচন

সমাজের মানুষ যখন আপ্রাণ প্রচেষ্টা করেও জীবন ধারণের মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হয় না। তখন মানুষ কু-রিপু ও কু-প্রবৃত্তির তাড়নায় অপরাধের দিকে ধাবিত হয় এবং সমাজে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। তাই ইসলামি অর্থ ব্যবস্থায় মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণের ব্যবস্থা রয়েছে। ইসলামি অর্থ ব্যবস্থায় নিজের প্রয়োজনাতিরিক্ত সম্পদ- যাকাত, সাদাকাহ, দান-খয়রাত, ওয়াসিয়াত ইত্যাদির মাধ্যমে সামাজিক ও সামগ্রীক স্বার্থে ব্যয় করার বিধান রয়েছে। কাজেই ইসলামি অর্থ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন হলে দারিদ্রের অবসান ঘটে। ফলে সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।

সুষম অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা

সমাজের এক শ্রেণীর লোক যখন সম্পদের পাহাড় গড়ে বিলাস-বসনে দিন কাটায়; পক্ষান্তরে অপর শ্রেণী অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করে, তখনই সমাজে হিংসা-বিদ্বেষ, চুরি-ডাকাতি, লুট-তরাজ, হিংসা-জিঘাংসা ইত্যাদি শান্তি বিনষ্টকারী কার্যকলাপ সংঘটিত হয়। ফলে সমাজে অশান্তি দেখা দেয় এবং প্রত্যেকে অশান্তি ও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। কিন্তু ইসলামি অর্থনীতি চালু হলে সম্পদ কতিপয় ব্যক্তির হাতে পুঞ্জিভূত থাকে না। বরং ধনী-দরিদ্রের মধ্যে অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় থাকে। সমাজ এক সুষম অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সুফল ভোগ করতে থাকে। ফলে সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় থাকে।

কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সৃষ্টি

বেকারত্ব এক সর্বগ্রাসী অভিশাপ। বেকারত্ব দারিদ্র্য ডেকে আনে এবং বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতার দিকে ঠেলে দেয়। তাছাড়া অনেকে মূলধনের অভাবে কোন কর্মের সংস্থান করতে পারে না। ইসলামি সমাজে প্রত্যেক নাগরিকের ন্যূনতম প্রয়োজন মেটানোর দায়িত্ব সরকারের। এজন্য ইসলাম নির্দেশিত যাকাত, সাদকাহ, দান-খয়রাত ইত্যাদির মাধ্যমে লোকদের অভাব বিমোচন করা হয়। যাকাত ও সাদকাহর অর্থ সংগ্রহ করে ইসলামি সমাজে বিভিন্ন ধরনের শিল্প-কারখানা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সৃষ্টি করা হয় এবং লোকদের বেকার হাতকে কর্মীর হাতে ও ভিক্ষুকের হাতকে দাতার হাতে পরিণত করে। ফলে আর্থ-সামাজিক স্বচ্ছলতা সৃষ্টি হয় এবং সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় থাকে।

অর্থের লোভ দূর হয়

কথায় বলে, অর্থই অনর্থের মূল। অর্থের মোহই মানুষকে ইতর থেকে ইতরতর পর্যায়ে নামিয়ে দেয়। অর্থের মোহ মানুষকে অন্ধ করে তোলে। এ অবস্থায় মানুষ হালাল হারামের কোন বিচার না করে। যে কোন উপায়ে অর্থোপার্জন করার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। আর সমাজে সৃষ্টি করে অশান্তি ও অরাজকতা। কিন্তু ইসলামি অর্থ ব্যবস্থায় অর্থের প্রতি উদগ্র মোহ ও লালসাকে দূরীভূত করে দিয়েছে, অর্থকে মানুষের জীবনের মূললক্ষ্য হিসেবে নয়, বরং জীবন ধারণের একটি উপায় হিসেবে নির্ধারণ করেছে। এজন্য কেউ যেন অর্থের পাহাড় গড়ে তুলতে না পারে, ইসলাম সে ব্যবস্থা দিয়েছে। ফলে ইসলামি সমাজে অর্থের মোহ থাকে না, এ ব্যবস্থায় প্রতিটি মানুষ আল্লাহ ভীতিকে প্রাধান্য দেয়। যে কোন কর্মকান্ডে মানুষ মানুষের উপর বিশেষ করে শ্রমিক শ্রেণীর উপর যুলম-নির্যাতন করা থেকে বিরত থাকে। এতে সমাজে শান্তি, শৃংখলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।

ভ্রাতৃত্ব ও সাম্যের পরিবেশ সৃষ্টি

ইসলামি অর্থ-দর্শনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, সমাজের মানুষের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতি, সাম্য ও ভ্রাতৃত্বভাব গড়ে তোলা। সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা বিধান করার পূর্বশর্ত হচ্ছে সামাজিক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি। ইসলামি অর্থ ব্যবস্থায় সমাজে প্রত্যেক মানুষ অপরের প্রয়োজনকে নিজের প্রয়োজন মনে করে এবং সর্বদা অন্যের অভাব ও প্রয়োজন মোচনে সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসে। আল কুরআনের শিক্ষার আলোকেই মানুষ-মানুষের প্রতি সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়। মহানবী (সা) এর শিক্ষা এ কাজে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। মাহনবী (সা) বলেছেন-যে ব্যক্তি পেট ভরে খায় আর তার প্রতিবেশী অনাহারে রাত কাটায় সে আমার উম্মতভুক্ত নয়। ফলে সমাজে ভ্রাতৃত্ব ও সাম্য সৃষ্টি হয় এবং অশান্তি দূরীভূত হয়ে যায়।

সহযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি

ইসলামি অর্থ-দর্শনে একই সাথে ব্যক্তি স্বার্থ ও সামগ্রীক স্বার্থ বিজড়িত। তাই পারস্পরিক দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবর্তে পারস্পরিক সহযোগিতা গড়ে ওঠে। তাছাড়া এতে সহানুভূতি, সহমর্মিতা, বদান্যতা, মহানুভবতা ও ভ্রাতৃত্ববোধমূক মহৎ গুণরাজিরও বিকাশ ঘটে। আর পারস্পরিক সহানুভূতি, সহযোগিতা ও সহনশীলতা সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্যও বটে। যেমন- এখানে ধনী-দরিদ্র ও মালিক-শ্রমিককে বিপক্ষ না ধরে বরং পরস্পরের বন্ধু হিসেবে মনে করা হয়। এ অর্থ ব্যবস্থায় একে অপরের সম্পূরক হিসেবে কাজ করে। প্রভৃ-ভৃত্য হিসেবে নয়। যার ফলে সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা বিরাজ করে।

অর্থনৈতিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা

মূলত ইসলামি অর্থ ব্যবস্থা অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারের-ই নামান্তর। ইসলামি অর্থ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে সমাজ থেকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যাবতীয় অনাচার ও অবিচার দূর হয়ে সুন্দর, সুষ্ঠু ও কল্যাণকর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা লাভকরে, যা সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য।

সুষ্ঠু বণ্টন ব্যবস্থার প্রবর্তন

ইসলাম ন্যায়বিচারমূলক জীবনবিধান নিশ্চিত করে। তাই শ্রেণীবৈষম্য ইসলামি অর্থনীতিতে স্থান পায় না। অন্য যে কোন সমাজে দেখা যায় যে, এক শ্রেণীর মানুষ সমাজে সীমাহীন সম্পদের প্রাচুর্যে গা ভাসিয়ে দেয়। আর অপর শ্রেণী বঞ্চিত, নিঃস্ব হয়ে মানবেতরভাবে বেঁচে থাকে। ইসলামের ইনসাফ ভিত্তিক বণ্টন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেই এরূপ বৈষম্য দূর করা যায়। এজন্যে ইসলাম যাকাত, ফিতরা, বায়তুল মাল ইত্যাদির ব্যবস্থা করেছে।

উত্তরাধিকার বণ্টনের ফলে শাস্তি

উত্তরাধিকার সম্পত্তির বণ্টনের ক্ষেত্রে সমাজে অনেক সময় সংঘাতের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া অনেক সমাজে উত্তরাধিকার বণ্টনের সুষ্ঠু বিধান নেই। ফলে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে। কিন্তু ইসলামি অর্থ ব্যবস্থায় সুষ্ঠু উত্তরাধিকার নীতি রয়েছে। ইসলামের উত্তরাধিকার নীতির সফল প্রয়োগের মাধ্যমে সম্পদ যথার্থ বষ্টিত হয়। ফলে সম্পদ-সম্পত্তি সংক্রান্ত বিলি বণ্টন নিয়ে বহু বিবাদ-কলহ থেকে সমাজ মুক্ত হয়। মানুষ সম্পদের অভাবে অর্থনৈতিক দৈন্যতায় ভোগে না। আর এতে সমাজে সম্প্রীতি গড়ে উঠে।

অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য নিষিদ্ধ

অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য ও কালোবাজারী সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করে। শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইসলাম যাবতীয় অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক অনাচার যেমন- সুদ, ঘুষ, জুয়া, মজুতদারী, মুনাফাকারী, কালোবাজারীসহ অন্যান্য নৈতিকতা বিরোধী ব্যবসা-বাণিজ্যকে হারাম তথা নিষিদ্ধ করেছে। ফলে ইসলামি সমাজে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং এ সংক্রান্ত জটিলতা থেকে সমাজ নিরাপদ থাকে।

শোষণমুক্ত নিরাপদ সমাজ প্রতিষ্ঠা

বস্তুত ইসলামি অর্থ-দর্শন হচ্ছে, আল্লাহর ইচ্ছার সামনে সম্পূর্ণ সোপর্দ করার মনোবৃত্তি সৃষ্টি করা। কাজেই বস্তুবাদী অর্থ ব্যবস্থার সুপ্ত শোষণের মনোবৃত্তি এখানে অনুপস্থিত। H.G.Wells তাই যথার্থই বলেছেন, ইসলাম যে সামাজিক ব্যবস্থা কায়েম করেছে, তা ইতিহাসে নজীরবিহীন। কাজেই শোষণ মুক্ত নিরাপদ সমাজ প্রতিষ্ঠায় ইসলামি অর্থ ব্যবস্থা এক অনন্য প্রতিষ্ঠান।

সারকথা

ইসলামি অর্থ-দর্শন হচ্ছে, অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আল্লাহর ইচ্ছার সামনে নিজকে সম্পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করার মনোবৃত্তি সৃষ্টি করা। ইসলামি অর্থ ব্যবস্থা শোষণমুক্ত সমাজ কায়েম করে। ইসলামি অর্থ ব্যবস্থায় সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। এখানে সম্পদের সুষম বণ্টন ব্যবস্থার নির্দেশ রয়েছে। তাই, কোন মানুষই এ অর্থ ব্যবস্থার মাধ্যমে অর্থনৈতিক শোষণের যাতাকলে নিষ্পিষ্ট হয় না। এ অর্থ ব্যবস্থায় মালিক-শ্রমিকের বৈষম্য স্বীকার করা হয় না। শ্রমিক মালিক একে-অপরের সম্পূরক হিসেবে এখানে বিবেচনা করা হয়। তাই, মালিক শ্রেণী শ্রমিক শ্রেণীর উপর শোষণ-নির্যাতন করে না। বরং শ্রমিককে তার জীবন-নির্বাহ করার জন্য উপযুক্ত বেতন-ভাতাদি প্রদানের তাগিদ করে। ফলে, একে অপরের বন্ধু-হিসেবে কাজ করে। ফলে সমাজে শান্তি ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বিরাজ করে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url