আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে তার মধ্যে হচ্ছে আলুটিলা, রিছাং ঝর্না, জেলা পরিষদ  পার্ক,  দেবতা পুকুর, পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুঠির, মানিকছড়ি মং রাজবাড়ী, মাতাই পুখিরি,রামু বৌদ্ধ বিহার, হর্টিকালচার পার্ক আর ও অনেক। তার মধ্যে খাগড়াছড়ি আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র কে সাজানো হয়েছে নতুন রূপে। তৈরি করা হয়েছে নন্দকানন নামের এই স্থাপনা ও ঝুলন্ত ব্রিজ।

চিত্রঃ আলুটিলা 


ঝুলন্ত সেতু গোল চত্বর নয়নাভিরাম হাঁটা পথ আর পাহাড়ে ধাপ কেটে তৈরি করা সিঁড়ি নিয়ে নতুন সাজে সেজেছে খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র। এক সময় আলুটিলার একমাত্র আকর্ষণ ছিল একটি প্রাকৃতিক গুহা। কিন্তু এখন গুহা দেখতে আসা পর্যটকরা শান্ত সমাহিত পাহাড়ের রূপ ও উপভোগ করতে পারবেন। উঁচু পাহাড়ের বেদিতে দাঁড়িয়ে দেখতে পারবেন খাগড়াছড়ির পুরো শহরের বিস্তার।

আরো পড়ুন ঃ বাগেরহাট ষাট গম্বুজ মসজিদের ইতিহাস

খাগড়াছড়ি শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি মহাসড়কের পাশে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬০০ ফিট উঁচু পাহাড়ের দেশে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র অবস্থান। ২০০ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই পর্যটন কেন্দ্রের তোরণ তৈরি করা হয়েছে নতুন করে। বৌদ্ধ স্থাপত্য গড়া দৃষ্টিনন্দন তোরুণ পার হলেই দুই পাহাড় নিয়ে গড়ে ওঠা পর্যটন কেন্দ্র।

দুই পাহাড়কে যুক্ত করতে তৈরি করা হয়েছে ১৮৪ ফুট দীর্ঘ লোহার ঝুলন্ত সেতু (কেবল ব্রিজ)। এই সেতুতে আছে কাচের ব্যালকনি। পাহাড়ের বাঁ দিকে  সড়ক ধরে গেলেই দেখা মিলবে প্রাকৃতিক গুহা ও ভিউ পয়েন্টর। আর ডান দিকের সড়ক ধরে এগুলেই দুই গজ দূরে নতুনভাবে তৈরি করা হয়েছে ভিউ পয়েন্ট কুঞ্জ ছায়া, আড্ডা দেওয়ার স্থান নন্দনকানন। কুঞ্জ ছায়া আর নন্দন কাননের সাদা গোল চত্বর আর বসার বেঞ্চ প্রকৃতির কোলে তন্ময় হতে দর্শকদের হাতছানি দেবে।

চিত্রঃ আলুটিলা গুহা 

গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে দেখা যাবে খাগড়াছড়ি  পুরো শহর। ৩৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের প্রাকৃতিক গুহা এখনো এই পর্যটন কেন্দ্রের প্রধান আকর্ষণ। গুহা থেকে বেরিয়ে সেতু পার হয়ে নান্দনিক সিঁড়ি বেয়ে দর্শনার্থীরা ফিরে আসবেন নন্দনকানন ও কুঞ্জ ছায়ায়। এর পাশেই পাহাড়ে খাজ কেটে তৈরি করা হচ্ছে ৭০০ আসন বিশিষ্ট আম্ফিথিয়েটার এছাড়াও চারতলা বিশিষ্ট একটি গেস্ট হাউস ও নির্মাণাধীন রয়েছে।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্র জানায় পর্যটক কেন্দ্রের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য জেলা প্রশাসক প্রতাপচন্দ্র বিশ্বাসের উদ্যোগে পর্যটন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের অর্থায়নে আলুটিলার উন্নয়ন কাজ চলছে। প্রথমে ২০২০ সালে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয় ভিউ পয়েন্ট কুঞ্জ ছায়া। এরপর তৈরি করা হয়েছে তোরুণ নানা স্থাপনা। এই কেন্দ্রে ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে ঝুলন্ত সেতু। আর ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে আম্ফিথিয়েটার এর কাজ চলছে। এছাড়া কোটি টাকা ব্যয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নের চার তলার একটি রেস্ট হাউসের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।

আরো পড়ুন ঃ আলতাদিঘীর ইতিহাস

বর্তমানে খাগড়াছড়ি আলুটিলাই অনেক পর্যটন আসে এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা পূর্বে ও আলুটিলায় এসেছিলেন সে সময় গুহা ছাড়া কিছুই ভালো লাগেনি এবার এসে কারুকার্যময় তরুণ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন পাহাড়ের মাঝে ঝুলন্ত সেতুর  কাচের ব্যালকনি থেকে পাখির চোখে খাগড়াছড়িশহর দেখার অভিজ্ঞতা সারা জীবন মনে থাকবে তাদের বলে  তারা জানান।

নতুন রূপে সাজানোর পর আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে বেড়েছে পর্যটক কেন্দ্রের স্থানীয় লোকজন বলেন বর্তমান প্রতিদিন ১০০০ থেকে ১৫০০ লোকজন পর্যটক এই কেন্দ্রে আসেন।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপচন্দ্র বিশ্বাস বলেন পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে আগামী এক বছরের মধ্যে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের পাশাপাশি  রিছাং ঝরনা ও মানিকছড়ি ডিসি  পার্ককে ও নতুন রূপে সাজানো হবে।

ধন্যবাদ***


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url