চিম্বুক পাহাড় বান্দরবান

 বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম পাহাড় হিসেবে সুপরিচিত বান্দরবান জেলার এই চিম্বুক পাহাড়। বান্দরবন জেলা শহর থেকে প্রায় ২৩ কিলোমিটার দূরে চিম্বুক পাহাড় অবস্থিত । চিম্বুক পাহাড় চূড়াতেই রয়েছে চিম্বুক পর্যটন কেন্দ্র। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৫০০ ফুট উঁচু চিম্বুক পাহাড়। চিম্বুক পাহাড়ে যাওয়ার সময় আঁকাবাঁকা রাস্তার দুই পাশের চমৎকার প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং সর্পিল সাঙ্গু নদীর সৌন্দর্য মনকে প্রশান্ত করে দেয়। পাহাড়ের সর্বোচ্চ উচ্চতায় দাঁড়িয়ে নৈস্বর্গিক প্রাকৃতিক রূপের সুধা পান করতে করতে মেঘের  ভেলা চেপে হারিয়ে যাওয়া যায় অপার্থিব জগতের গভীরে।

সিঁড়ির পূর্বে রয়েছে দুই স্তরের দুটি ভিউ পয়েন্ট। কেউ যদি নিচে নামতে না চায় তাহলে সেখানে দাঁড়িয়ে উপভোগ করতে পারবেন চিম্বুক পাহাড়ের  সৌন্দর্য। সিঁড়ির শেষ প্রান্তে পশ্চিমে রয়েছে তিনটি কংক্রিটের সুদৃশ্য চেয়ার-টেবিল। শেষ বিকেলে এখানে বসে আড্ডা কিংবা একান্ত নির্জন সময় উপভোগ করতে পারবেন। চিম্বুকের নিচে পাহাড়ের পাদদেশে মারমাদের বসবাস।  এই চিম্বুক পাহাড় ঘিরে তাদের অনেকের জীবন জীবিকা চলে। চাইলে তাদের জীবনে ও সংস্কৃতি সাথে পরিচিত হতে পারেন এবং তাদের সাথে ছবি উঠাতে পারেন। মন চাইলে কিছু বার্মিজ  ও আদিবাসী পূর্ণ তাদের কাছ থেকে কিনতে পারবেন।

আরো পড়ুন ঃ নীলগিরি পাহাড় বান্দরবান জেলা

পোস্ট সূচিপত্রঃ

চিম্বুক পাহাড়ে যাতায়াতের রাস্তা ঃ

চিম্বুক পাহাড়ে যাওয়ার জন্য বান্দরবান শহরের রুমা বাস স্টেশন থেকে চান্দের গাড়ি হিসেবে পরিচিত (জীপ) গাড়ী, ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভার, পাজেরো অথবা বান্দরবান থানচি পথে যাতায়াত করা স্পেশাল বাস ভাড়া নিতে হবে। চিম্বুক-থানচি পথে বিকেল ৪.০০ টার পর  আর কোন গাড়ি চলাচল করে না। তাই আপনাকে  ৪.০০ টার মধ্যে ফিরে আসতে হবে।

চিম্বুক পাহাড়ে গিয়ে কোথায় থাকবেন ঃ

পাহাড়ি এলাকা ও দুর্গম হওয়ার কারণে চিম্বুকে পাহাড়ে কোন থাকার হোটেল নেই। তবে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে একটি রেস্ট হাউস পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে চিম্বুক পর্যটন থেকে আরো দূরে নীলগিরি অথবা আগে বিলাসবহুল সাইরু রিসোর্ট আছে। কম খরচে থাকতে চাইলে বান্দরবান জেলা শহরে বিভিন্ন মানের বেশ কিছু আবাসিক হোটেল আছে।

বান্দরবান থাকার জন্য যে সকল হোটেল রিসোর্ট রয়েছে তার মধ্যে হোটেল হিলভিউ বান্দরবান শহরের বাসস্ট্যান্ডের পাশে। ভাড়া ১২০০ থেকে ২৫০০ টাকা। হোটেল হিলটন বান্দরবান শহরের বাস স্ট্যান্ড এর কাছে। ভাড়া ১০০০ থেকে ৩০০০ টাকা। হোটেল প্লাজা বাস স্ট্যান্ড থেকে পাঁচ মিনিট হাটা দূরত্ব রাস্তা। ভাড়া ১০০০ থেকে ৩০০০ টাকা। হোটেল রিভারভিউ শহরের সাঙ্গু নদীর তীর ঘেঁষে হোটেলটির অবস্থান। ভাড়া এক ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা। এছাড়া ও পর্যটন মোটেল পাহাড় ও লেকের পাশে অবস্থিত। শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে মেঘালয় অবস্থিত। ভাড়া ১২০০ থেকে ২৫০০ টাকা।

আরো পড়ুন ঃ নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র বান্দরবান

চিম্বুক পাহাড়ে খাবারের ব্যবস্থা ঃ

চিম্বুক পাহাড়ের পাশে সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত একটি ক্যান্টিন চালু আছে। এখানে সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার খাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া চিম্বুক পর্যটন কেন্দ্রের সামনে আদিবাসীদের খাবার হোটেল আছে। তাদের কে আগে থেকে বলে রাখলে দুপুরের খাবার ব্যবস্থা করে দিবেন।

বান্দরবান শহরের খাওয়ার জন্য রয়েছে বেশ কিছু রেস্তোরা। তাদের মধ্যে তেজিং ডং কাফে, মেঘদুত কাফে, ফুড প্লেস রেস্তোরাঁ, রূপসী বাংলা রেস্তোরাঁ, রী সং  সং কলাপাতা রেস্তোরাঁ সহ আরো অনেক  রেস্তোরাঁ আছে।

ধন্যবাদ* 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url