পাকা পেঁপে ও কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা

পাকা পেঁপে খাওয়ার কত গুণ অনেকে জানেনা। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ সকলেই এই ফলকে মহা ঔষধ বলে মনে করেন। শিশুদের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে বয়স্কদের অর্শের সমস্যায় আবার কম বয়সীদের ওজন কমানোর ডায়েটে পাকা পেঁপের স্থান সকলের আগে। বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজের প্রাকৃতিক উৎসব পাকা পেঁপে চোখের জন্যও উপকারী। বিটা ক্যারোটিনে ভরপুর পাকা পেঁপে ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

 পাকা পেঁপের উপকারিতা: 

 আন্টি অক্সিডেন্ট এ ভরপুর: পাকা পেঁপে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এ ভরপুর পাকা পেঁপে ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির প্রতিরোধক। এছাড়াও পেঁপেতে ররেছে ক্যারোটিনয়েড,ভিটামিন সি এবং ই, যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। 

হজমে সহায়ক: পাকা পেঁপে মুখে রুচি ফেরায় সেই সঙ্গে খিদে বাড়ায় এবং পেট পরিষ্কার রাখে। পেট পরিষ্কার থাকলে গ্যাস অম্বলের সমস্যা ও নিয়ন্ত্রণে থাকে। শুধু তাই নয় যাদের অর্শের সমস্যা রয়েছে, চিকিৎসকরা তাদের পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন।

 প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম: পাকা পেঁপে কিন্তু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ১০০ শতাংশ ভিটামিন সি পাওয়া যায় এই পাকা পেঁপে থেকেই। শরীরে কোন সংক্রমণ হলে তা কমাতে চিকিৎসকরা পাকা পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন। 

ওজন কমাতে: পাকা পেপেতে যথেষ্ট পরিমাণ ফাইবার থাকায় তা অন্তের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। পাশাপাশি বিপাক হার ও বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও যারা ওজন কমাতে ডায়েট মেনে খাবার খেয়ে থাকেন তাদের জন্য ভালো পাকা পেঁপে। 

হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা করে: হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পটাশিয়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে এই যৌগ। প্রাকৃতিকভাবে পটাশিড্রয়ামের উৎস হল পাকা পেঁপে। 

 কাঁচা পেঁপে: 

কাঁচা পেঁপের উপকারিতা: 

১। ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে কাঁচা পেঁপে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে যথেষ্ট আঁশ বা ফাইবার রয়েছে। পেঁপেতে যেমন কম ক্যালরি আছে তেমন মেদুই কমানোর জন্য বিশেষ কিছু উপাদান রয়েছে। 

২। যাদের পেটে গোলমাল দেখা দেয় তারা সালাদ হিসাবে কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন।

 ৩। এতে থাকা আঁশ কনিক কষ্টকাঠিন্য আসিডিটি বা অম্লতা, পাইলস ও ডায়রিয়া দূর করতে পারে। 

৪। কাঁচা পেঁপে দেহের সঠিক রক্ত সরবরাহে কাজ করে। দেহের জমা থাকা সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে যা হৃদপিন্ডের রোগের জন্য দায়ী। নিয়মিত পেঁপে খেলে উচ্চ রক্ত চাপের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

 ৫। কাঁচা পেঁপেতে নানা রকম প্রাকৃতিক এনজাইম থাকে। এর মধ্যেও উল্লেখযোগ্য দুটি এনজাইম হচ্ছে সাইমোপ্যাপিন ও প্যাপিন। এই দুটি এনজাইম প্রোটিন চর্বি ও কার্বোহাইড্রেট ভাঙতে সাহায্য করে।

 ৬। নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খেলে ত্বকের সমস্যা দূর হয়। বিশেষ করে ব্রণ এবং ত্বকের উপর নানা দাগ দূর করতে পারে কাঁচা পেঁপে। মৃত কোষ সমস্যা দূর করতে পারে কাঁচা পেঁপে। 

৭। যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তারা কাঁচা পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস শুরু করুন। খেতে পারেন কাঁচা পেঁপের জুসও। কাঁচা পেঁপে বা এর জুস রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়। আর এটি শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ায়। 

৮। প্রতিদিন দুপুর ও রাতে খাবারের পর এক টুকরো কাঁচা পেঁপে ভালো করে চিবিয়ে খান। তারপর এক গ্লাস পানি খেলে সকালে পেট পরিষ্কার হয়। এতে গ্যাস্ট্রিক বদহজমের সমস্যা দূর হয়। 

৯। প্রেমের পুষ্টিগুণ মেয়েদের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকারি। কারণ এটি নারীদের যেকোনো ধরনের ব্যথা কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। পেঁপে পাতা, তেতুল ও লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে পানি দিয়ে খেলে ব্যথা একেবারে ভালো হয়ে যায়।

 ১০। পেঁপেতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ই ও এ। এগুলো ১০০ গ্রামে মাত্র ৩৯ ক্যালোরি দেয়। এছাড়া এতে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অতিরিক্ত ক্যালরি ও চর্বির পরিমাণ কমিয়ে দেয়।

ধন্যবাদ***