ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও সুস্থতার জন্য খাদ্য তালিকা সমূহ:-

এডিস মশার কামড় থেকে ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমণের তিন থেকে ১৪ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ দেখা যায়। রাজধানী ঢাকা সহ সারা দেশে এই মারাত্মক আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু। 

গত ১৮/০৮/২০২৩ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে মোট ৯৫ হাজার ৮৭৭ জন তাদের মধ্যে  ঢাকার ৪৬ হাজার ৯৩৩ জন। গত বছরে ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৮১ জন এবং আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার ৭৬৪ জন।



ডেঙ্গু হলে সাধারণত জ্বর মাথা ব্যাথা বমি বমি ভাব পেশি ও শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যাথা হয়। সেই সঙ্গে চামরাই লাল লাল ফুসকুড়ি ও দেখা দিতে পারে ‌।

ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে আর এই সময় খাবারের প্রতি ও বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।

আরো পড়ুন: পায়খানার সাথে রক্ত পড়া কিসের লক্ষণ জানতে এখানে ক্লিক করুন 

যে খাবারগুলো বেশি খেতে পারেন

পেঁপে পাতা:

পেঁপে পাতা পাপাইন ও কাইমোপাপেনের পাতা মতো এনজাইম সমৃদ্ধ যা হজমের সাহায্য করে এবং প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

ডাবের পানি:

ডেঙ্গু জ্বরের কারণে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয় তাই শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে ডাবের পানি পান করলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও ডাবের পানিতে রয়েছে ইলেকট্রোলাইট সেল মত প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।

ডালিম:

ডালিম ও পুষ্টি খনিজ সমৃদ্ধ ফল এটি শরীরের ক্লান্তি ভাব কমায় ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন যা রক্তের জন্য উপকারী। এছাড়াও ডালিম প্লাটিলেট  কাউন্ট বজায় রাখতে সাহায্য করে।

হলুদ:

ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে হলুদ একটি উপকারী খাদ্য উপকরণ। এক গ্লাস দুধের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে এটি দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করবে।

মেথি:

মেথি সহজে ঘুমাতে এবং ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে এটি অতিমাত্রার জোর কমিয়ে নেই যার ডেঙ্গুর একটি সাধারন লক্ষণ। তবে মেথি খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

কমলা:

কমলা ও অন্যান্য ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ডেঙ্গু জ্বরে অত্যন্ত উপকারী কমলায় ভিটামিন সি সাড়াও রয়েছে এন্টি এক্সিডেন্ট যার ডেঙ্গু প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ব্রকলি:

ব্রকলি ভিটামিন কে এর একটি চমৎকার উৎসব যা প্লাটিলেট বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, যদি প্লাটিলেট অতিমাত্রায় কমে যায় তাহলে ডেঙ্গু রোগীর দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ব্রকলি রাখা যেতে পারে।

পালং শাক:

পালং শাক আয়রন ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও এটি এছাড়াও এটি প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে সাহায্য  করে।



যেসব খাবারগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত তৈলাক্ত বা ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার:

ডেঙ্গু জ্বর হলে তৈলাক্ত বেশি মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে হালকা তেল মসলা রান্না করা খাবার খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার উচ্চ রক্তচাপ ও উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণ হতে পারে।

ক্যাফেইন যুক্ত পানীয়।

এই সময় শরীরের পশুর তরল প্রয়োজন কিন্তু সে ক্ষেত্রে ক্যাফেইন যুক্ত পানিও এড়িয়ে যাওয়া ভালো। ক্যাফেইন যুক্ত পানি দুটো হৃদস্পন্দন ক্লান্তিভাব ও পেশীর ভাঙ্গন সৃষ্টি করে। তাই শরীরকে হাইড্রোটেড রাখতে ক্যাফেইন যুক্ত পানিও এড়িয়ে রিলাক্সিং ফ্লুইড খাবার খাওয়ার পরামর্শ  দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন: লেবু দিয়ে পাকা চুল কালো করার উপায় জানতে ক্লিক করুন 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url