বাংলাদেশের রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপ
◆ বাংলাদেশের রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপের কারণ ব্যাখ্যা করতে পারবেনঃ
◆ বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সরকারের সামরিকীকরণ প্রক্রিয়া বর্ণনা করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সামরিক শাসনের ফলাফল আলোচনা করতে পারবেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপের কারণ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এশিয়া, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকার বহু দেশ একে একে ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। পরবর্তীতে এ সব দেশের রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ অথবা সামরিক বাহিনী কর্তৃত্ব ক্ষমতা দখল অন্যতম বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়। ৮০'র দশক পর্যন্ত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখল সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। পাকিস্তানীৎ সেনা-আমলাতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে বেসামরিক-সিভিল শাসন প্রতিষ্ঠার মানসে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভ করে। তথাপি স্বাধীনতার তিন দশকের অর্ধেকের বেশি সময় দেশটি দু'জন সামরিক শাসক দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। সামরিক শাসক আক্রান্ত তৃতীয় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপের কয়েকটি কারণ নিচে আলোচনা করা হলো:
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও রাজনীতিবিদদের অদূরদর্শীতা: বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর পরই রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেকগুলো সমস্যা তৈরি হয়। নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রণয়ন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত অর্থনীতি পুনর্গঠন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, প্রশাসন ও সামরিক বাহিনীর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, স্বাধীনতা বিরোধীদের তৎপরতা ইত্যাদি সমস্যা সমগ্র দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তোলে। এহেন পরিস্থিতিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের ফলে সামরিক বাহিনীর কতিপয় জুনিয়র সদস্যের নেতৃত্বে সামরিক অভ্যুখান সংগঠিত হয়। এর ফলে গণতান্ত্রিক সরকারের পতন হয় ও সামরিক বাহিনী রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। পূর্বোক্ত কারণগুলো ছাড়াও পাকিস্তান আমলে রাষ্ট্রপরিচালনায় সামরিক বাহিনীর ভূমিকা বাংলাদেশের সামারিক বাহিনীকে ক্ষমতা দখলের প্রেরণা দেয়।
সামরিক বাহিনীর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব: স্বাধীনতা পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী সেনা সদস্য এবং পাকিস্তান থেকে প্রত্যাবর্তনকারী সেনা সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। স্বাভাবিক কারণেই সরকার মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন এবং তাদেরকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাদি দেওয়া হয়। ফলশ্রুতিতে অমুক্তিযোদ্ধা অংশটি সরকারের উপর ক্ষুদ্ধ হয়। সামরিক অভ্যুত্থানের সাথে সেনাবাহিনীর এ অংশটি জড়িত হয়।
বিশ্বপুঁজিবাদের স্বার্থ সংরক্ষণ: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো রাজনৈতিক স্বাধীনতা লাভ করলেও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জিত হয়নি। প্রাক্তন উপনিবেশিক শাসকরা নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য ঋণ, সাহায্য, অনুদান, উন্নয়নের তত্ত্ব ইত্যাদি বিভিন্ন উপায়ে এ দেশগুলোকে নির্ভরশীল করে তোলে। স্বাধীনতার পর অন্যান্য অনুন্নত দেশের ন্যায় বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়। এ ছাড়াও সরকার জাতীয়করণ নীতিসহ এমন কিছু পলিসি গ্রহণ করে যা বিশ্ব পুঁজিবাদের স্বার্থকে বিঘ্নিত করে। এমতাবস্থায় বৈশ্বিক পুঁজিবাদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সামরিক বাহিনীর একটি অংশকে ব্যবহার করে বাংলাদেশে সামরিক শাসনের সূচনা ঘটানো হয়।
বিশ্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি: স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালে সমগ্র বিশ্ব সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক ব্লক এবং আমেরিকার নেতৃত্বাধীন পুঁজিবাদী ব্লকে বিভক্ত হয়ে যায়। যদিও বাংলাদেশ শুরু থেকে জোট নিরপেক্ষতার নীতি গ্রহণ করে তথাপি মুক্তযুদ্ধ চলাকালিন সাহায্য সহযোগিতার কারণে সোভিয়েত ব্লকের সাথে অধিক ঘনিষ্ট হয়। বাংলাদেশের উপর পুঁজিবাদী বিশ্বের কর্তৃত্ব স্থাপনের লক্ষ্যে সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করে গণতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটানো হয়।
বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সরকারের সামরিকীকরণ প্রক্রিয়া
১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত দেড় দশক কাল বাংলাদেশে সামরিক শাসন চলেছিল। এ সামরিক শাসন ছিল কখনো প্রত্যক্ষ কখনো পরোক্ষ। সামরিক শাসন কালে সংবিধান, আইনের শাসন, বিচার বিভাগ, ব্যক্তি ও মিডিয়ার স্বাধীনতা, অর্থনীতি সকল ক্ষেত্রেই সামরিক বাহিনীর প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়। একে সহায়তা করেছে বেসামরিক আমলাতন্ত্র এবং দুর্নীতিপরায়ণ রাজনীতিক চক্র। সামরিকীকরণ প্রক্রিয়ার ফলে বেসামরিক রাজনৈতিক কর্তৃত্বে রাষ্ট্র পরিচালনা সম্ভব হয় নি। ১৯৭৫ সালে প্রথম সামরিক সরকারের শুরু থেকেই সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বসহ সরকার ও প্রশাসনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সামরিকায়নের সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া শুরু হয়। জেনারেল এরশাদের আমলে এ প্রক্রিয়া প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সরকারের সামরিকীকরণ প্রক্রিয়ায় কিছু উদাহরণ নিচে উল্লেখ করা হলো:
- জিয়া শাসনামলে সামরিক সদস্যদের অনেকে কর্মরত অবস্থায় সক্রিয় রাজনীতি করেছেন। এঁরা জনদল, জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সদস্য হয়েছেন। তেমনি এরশাদ আমলেও সেনা সদস্যরা জনদল, ফ্রন্ট ও জাতীয় পার্টির সদস্য হয়েছেন।
- বাংলাদেশ সংবিধান এবং সেনা আইনের ২৯২ ও ২৯৩ বিধিদ্বয় অমান্য করে জিয়াউর রহমান নিজের ইচ্ছামত সামরিক ফরমান জারী করে সেনাবাহিনীতে চাকরিরত অবস্থায় ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হন। একই ভাবে এরশাদ ও ক্ষমতা দখলের চার বছর পর সেনাবাহিনীতে চাকরিরত অবস্থায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।
- জিয়াউর রহমানের আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারবর্গ এবং জাতীয় চার নেতা হত্যাকারী সামরিক সদস্যদের চাকরি দিয়ে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে পাঠিয়ে তাদের পুরস্কৃত করা হয়। পরবর্তীতে এরশাদ সরকারও এদেরকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেন। এ ধরনের আরো অসংখ্য সুযোগ-সুবিধা ও নিয়োগ দানের মাধ্যমে সামরিক শাসন আমলে রাষ্ট্র, সরকার ও প্রশাসনের সামরিকীকরণ করা হয়।
- জিয়া এবং এরশাদ শাসনামলে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক হারে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ও বেসামরিক পদ দেওয়া হয়। এরশাদ আমলে সতেরো জন সামরিক অফিসার মন্ত্রি হন। এদের মধ্যে কয়েকজন সামরিক বাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় মন্ত্রি পদে ছিলেন।
- ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশের ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারের মধ্যে ২৩ জন সামরিক বাহিনীর অফিসার ছিলেন।
- ১৯৮৮ সালে এরশাদ পুরোনো মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে ৭ সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রিসভা গঠন করেন। এ মন্ত্রিসভার সকল সদস্যই ছিলেন সামরিক বাহিনীর অফিসার।
- এরশাদ শাসনামলে রাষ্ট্রপতির সচিবালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহ অন্য সব মন্ত্রণালয়, পুলিশ বিভাগ, বিভিন্ন কর্পোরেশন ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় শীর্ষপদসমূহের অধিকাংশে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
- এরশাদ আমলের মাঝামাঝি সময়ে পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি এবং বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটিতে সেনা বাহিনীর প্রতিনিধি রাখার ব্যবস্থা করা হয়।
- রাজনৈতিক বৈধতা অর্জনের নিমিত্ত হিসেবে বাংলাদেশে সামরিক বাহিনী সমর্থিত সরকার ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহার করে ধর্মকে রাজনৈতিক ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। এতে পবিত্র ধর্মের প্রতি কার্যত অবিচার করা হয় এবং রাষ্ট্রকে সাম্প্রদায়িক শক্তির অন্ধকার গহব্বরের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে সামরিক শাসনের ফলাফল
যদিও বিশ্বের প্রতিটি দেশের সামরিক শাসকরা তাদের শাসনকালকে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের কাল হিসাবে বর্ণনা করেন, বস্তুত সামরিক শাসনামলে উভয় ক্ষেত্রেই নেতিবাচক পরিস্থিতি সংকটজনক পর্যায়ে উপনীত হয়। ১৯৬০ ও ৭০'-এর দশকে ৭৭ টি দেশের উপরে গবেষণা করে এরিখ লর্ডলিংগারস (Eric Nordlingers) এবং বিভিন্ন গবেষক সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, তৃতীয় বিশ্বের রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ সমাজ পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কোন ভূমিকা রাখে না। বাংলাদেশে সামরিক শাসনের অভিজ্ঞতা যাচাই করলে একই ফল পাওয়া যায়। সামরিক শাসনের ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্রদ্র্য বিমোচন, স্থিতিশীলতা কোনটিই অর্জিত হয়নি। রাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের অবস্থা ক্রমশই খারাপ হয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ দুর্বল হয়েছে। বারংবার সংবিধান লংঘিত হয়েছে। সামরিক শাসনের কয়েকটি ফল নিম্নে তুলে ধরা হলো:
সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি (১৯৭২-৮১)
মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১৯৭৯ সালের মূল্য ও বিনিময় হারে)
দেশ ১৯৭২ - ১৯৮১ =পরিবর্তনের হার
বাংলাদেশ। ৪৯ - ১৪০ =১৮৬%
ভারত ৩৪৫৫ -৩৯৯১ =১৬%
পাকিস্তান। ১০৭০ - ১৩০৭= ২২%
উৎস: B K. Jahangir 'Problematics of Nationalism in Bangladesh 1986
ছক থেকে দেখা যাচ্ছে উপমহাদেশে ১৯৭২-৮১ সময়কালে সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি হার বাংলাদেশে সর্বোচ্চ।
অর্থনৈতিক ফলাফল (১৯৮২-৯০)
- সামরিক শাসনামলে কখনোই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
- ৮৩% মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করেছে।
- প্রতি নয় হাজারে একজন ডাক্তার।
- জাতীয় সঞ্চয় হার শতকরা ২ ভাগে নেমেছে।
- বৈদেশিক ঋণ বাবদ গৃহীত ৩৭ হাজার কোটি টাকা শোধ করতে ৮শত বছর লাগবে।
- খাদ্য ভর্তুকির শতকরা আশিভাগ সেনাবাহিনী, বি.ডি আর ও পুলিশ খাতে ব্যয় করা হয়েছে। গরিব ও স্বল্প আয়ের মানুষের রেশন ও খাদ্যের দাম ক্রমাগত বেড়েছে।
রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস
বাংলাদেশে বারংবার সামরিক আইন জারী, অবৈধ পন্থায় রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল,
সংবিধান লংঘন ও সংশোধন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিনষ্ট করার ফলে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সমূহ দুর্বল হয়। মার্শাল'ল প্রোক্লেমেশন এবং সংবিধানের ৫ম, ৭ম, ৮ম, ৯ম সংশোধনীর অধীনে রাষ্ট্রের সামরিকীকরণ ঘটে। সামরিক শাসক বিরোধী আন্দোলনসমূহ অগণতান্ত্রিক পন্থায় দমনের ফলে রাজনৈতিক দল এবং সিভিল সমাজ গুরুতর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্বচছতা ও জবাবদিহিতা না থাকায় সরকারি কার্যক্রমে স্বেচ্ছাচারিতা প্রাধান্য পায়। সংবিধানের প্রাধান্য ও আইনের শাসন নষ্ট হয়। বেসামরিক প্রশাসনে সামরিক বাহিনীর একচেটিয়া উপস্থিতি প্রশাসনিক শৃঙ্খলা নষ্ট করে অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির প্রসার ঘটায়।
সারকথা
তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশের মত বাংলাদেশ ও দীর্ঘকাল সামরিক বাহিনী দ্বারা শাসিত হয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, রাজনীতিকদের অদক্ষতা, সামরিক বাহিনীর ক্ষমতার মোহ, বিশ্ব পুঁজিবাদের স্বার্থ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সামরিক শাসন কালে রাষ্ট্র ও সরকারের সকল স্তরে সামরিকায়ন ঘটে। এর ফলে সংবিধান লংঘিত হয়, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ দুর্বল হয়ে পড়ে। দেশের আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক সকল ক্ষেত্রে দুর্দশা তৈরি হয়। আইনের শাসন, সুষ্ঠু নির্বাচন ও বিচারের বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার ফলে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url