ইসলামি ব্যাংকের শরীআ কাউন্সিল ও এর কার্যাবলী
শরীআ কাউন্সিলের পরিচয় ও কর্মকান্ড সম্পর্কে ধারণা শরীআ বোর্ড গঠনের প্রয়োজনীয় দিকগুলো শরীআ বোর্ডের কার্যাবলী উল্লেখ করতে পারবেন।
ইসলামি ব্যাংকের শরীআ কাউন্সিল
কোন একটি ব্যাংকের কেবল মাত্র আর্থিক লেনদেন সুদমুক্ত হলে কিংবা সাইন বোর্ডে ইসলাম শব্দ ব্যবহার করলেই তা প্রকৃত ইসলামি ব্যাংক বা ইসলামি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হয়ে যায় না। প্রকৃত ইসলামি ব্যাংক হতে হলে ব্যাংকের সমুদয় কর্মকান্ড ইসলামি শরীআ অনুযায়ী পরিচালিত হতে হবে। সুতরাং ইসলামি ব্যাংকের যাবতীয় কর্মকান্ড ইসলামি শরীআ অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা তদারক করা এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও তথ্য সরবরাহের জন্যে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি শরীআ বোর্ড গঠন করা প্রয়োজন। দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামা কিরাম, ইসলামি চিন্তাবিদ, ফকীহ, ইসলামি অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার, ইসলামি আইনবিদ এবং দার্শনিকগণকে নিয়ে এ শরীআ বোর্ড গঠিত হবে। শরীআ বোর্ডের সদস্যদের কেবল উচ্চ ডিগ্রী এবং জ্ঞানের পান্ডিত্য থাকলেই চলবে না; বরং প্রত্যেক সদস্যকে পরহেজগার, মুত্তাক্বী এবং ইসলামি শরীআতে পারদর্শী হতে হবে। শরীআ বোর্ডের সদস্যগণকে কেবল ব্যাংক কর্তৃপক্ষের আস্থাভাজন হলেই চলবে না, জনগণের নিকটও আস্থাভাজন হতে হবে। এখানে 'মুত্তাক্বীন' শব্দ এ কারণে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পৃথিবীতে এমন বহু লোক আছে যারা অসীম জ্ঞানের অধিকারী। দেশ বিদেশের কোন উচ্চ ডিগ্রীরও অভাব নেই তাঁদের। ইসলামের কথা বলে মানব হৃদয়কে শীতল করে দিতে পারে। অথচ ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে ইসলামের কোন অসুশাসন তাঁরা মেনে চলবেন না। বাহ্যিক অবস্থা দেখলে বুঝার উপায় নেই যে, তিনি মুসলিম নাকি অমুসলিম। ব্যক্তি স্বার্থ ও অর্থের লোভ লালসা তাঁদেরকে গ্রাস করে ফেলেছে। নিজ অপরাধগুলোকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যে ইসলামের অপব্যাখ্যা দিতেও দ্বিধাবোধ করেন না তাঁরা। সুতরাং এ ধরনের আমলহীন আলেম বা পন্ডিতগণকে শরীআ বোর্ডের সদস্য মনোনীত করা হলে তাঁদের ফতোয়া বা সিদ্ধান্ত জনগণ মানবে না। ফলে এর মাধ্যমে শুধু ব্যাংকই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বরং হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইসলামি ব্যাংক শুধু জনগণকে বুঝানো ও সান্ত্বনা দেওয়ার জন্যে নামে মাত্র একটি শরীআ বোর্ড গঠন করলে হবে না বরং শরীআ বোর্ডের সদস্যগণ যাতে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে তাঁদের মতামত ব্যক্ত করতে পারেন সে সুযোগ দিতে হবে এবং ইসলামি ব্যাংকে ইসলামি শরীআর পরিপন্থী কোন কাজ করা হলে কিংবা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলে তা রোধ করণে হস্তক্ষেপ করার পর্যাপ্ত ক্ষমতাও শরীআ বোর্ডের থাকতে হবে।
আরো পড়ুন: ইসলামি ব্যাংক ও সুদভিত্তিক ব্যাংকিং পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য
সুতরাং ইসলামি ব্যাংক-কে একটি পরিপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে শরীআ বোর্ড গঠনকালে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোকে অবশ্যই গুরুত্ব দেওয়া আবশ্যক।
১. শরীআ কাউন্সিল সদস্যদের কেউই ইসলামি ব্যাংকের কর্মকর্তা হবেন না। কারণ নিম্নপদস্থ কর্মকর্তাগণ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ কর্তৃক প্রভাবিত হতে পারেন। তবে তাঁদের কাজের জন্যে উপযুক্ত সম্মানী ও সুযোগ সুবিধা থাকবে।
২. ব্যাংকের মালিকপক্ষ তথা বোর্ড অভ ডাইরেক্টরস শরীআ কাউন্সিলের কোন সদসস্যের উপর প্রভাব খাটাবে না। বরং ব্যাংকের কোন কর্মকান্ডে বোর্ড অভ ডাইরেক্টরস কিংবা কর্মকর্তা কর্তৃক ইসলামি শরীআর নীতিমালা লঙ্ঘিত হলে শরীআ বোর্ডের নিকট তাঁদের জবাবদিহির ব্যবস্থা থাকবে।
৩. শরীআ কাউন্সিলের সদস্যগণের স্বাধীনভাবে তাঁদের মতামত ব্যক্ত করার কাজ পরিলক্ষিত হলে কিংবা কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলে তা রোধ করার জন্যে শরীআ বোর্ডকে প্রয়োজনীয় এবং পর্যাপ্ত ক্ষমতা প্রদান করা।
৪. ব্যাংকের কর্মকান্ড সংক্রান্ত কোন বিষয়ে বোর্ড অভ ডাইরেক্টরস এর কোন সভা অনুষ্ঠিত হলে তাতে শরীআ বোর্ডের এক বা একাধিক সদস্যকে আমন্ত্রণ জানানো।
৫. ব্যাংকের স্বার্থে কিংবা ব্যাংকের কর্মকান্ডের সাথে সম্পর্কিত কোন বিষয়ে বোর্ড অব ডাইরেক্টরস কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তা বাস্তবায়িত করার পূর্বেই এ সিদ্ধান্ত ইসলামি শরীআ সম্মত কিনা তা শরীআ কাউন্সিল থেকে লিখিত অনুমোদন দেয়া।
৬. ব্যাংক যে সকল বিনিয়োগ প্রকল্প গ্রহণ করবে তা বাস্তবায়িত করার পূর্বে শরীআ বোর্ডের অনুমোদন নেয়া।
৭. ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগ থেকে ব্যাংকের কর্মকান্ড, কর্মপদ্ধতি এবং ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যে সকল সার্কুলার ইস্যু করা হবে তা বৈধ কিনা এ বিষয়ে শরীআ বোর্ড থেকে লিখিত অনুমোদন নেয়া।
৮. শরীআ কাউন্সিলের রায় বা সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে গণ্য করা। ব্যাংকের সর্বস্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী এমনকি বোর্ড অব ডাইরেক্টরস পর্যন্ত শরীআ কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে মেনে চলতে এবং পালন করতে বাধ্য থাকা।
৯. ইসলামি ব্যাংক-কে একটি আদর্শ, কল্যাণকর এবং প্রকৃত ইসলামি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে শরীআ বোর্ডকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও তথ্য দেয়ার ব্যাপক অধিকার দেয়া।
১০. শরীআ কাউন্সিলের সদস্যদের যেন শরীআতী কোন কারণ ব্যতীত সহজেই পদচ্যুত করা না হয় তার ব্যবস্থা করা।
১১. শরীআ কাউন্সিলকে যে কোন সময় ব্যাংকের যে কোন কর্মকান্ড তদারক করার, বিভিন্ন ব্রাঞ্চ পরিদর্শন করার, অডিট করার এবং ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজে অংশগ্রহণ করার অনুমতি থাকা এবং এতদবিষয়ে যাবতীয় ব্যয়ভার ব্যাংক কর্তৃক বহন করা।
ইসলামি ব্যাংকের শরীআ কাউন্সিলকে যে সকল সুযোগ সুবিধা ও ক্ষমতা প্রদানের কথা ইতিপূর্বে আলোচনা করা হল তা শরীআ কাউন্সিলকে দিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অস্বীকৃতি জানাবে না। এছাড়া শরীআ কাউন্সিলেরও জবাবদিহির ব্যবস্থা থাকবে।
এখানে আরো একটি বিষয় বলা দরকার যে, প্রতিটি ইসলামি ব্যাংকে একটি শরীআ কাউন্সিল থাকা তো প্রয়োজন। তবে যে দেশে একাধিক ইসলামি ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সে দেশের কেবল নিজস্ব শরীআ কাউন্সিল থাকা হয়তো যথেষ্ট হবে না। এক্ষেত্রে সকল ইসলামি ব্যাংকের যৌথভাবে বিশেষ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি শরীআ কাউন্সিল গঠন করা দরকার। প্রয়োজন বোধে দেশের বাইরের আলেম, ফকীহ, ইসলামি অর্থনীতিবিদ, ইসলামি চিন্তাবিদ, ব্যাংকার, দার্শনিক এবং ইসলামি আইনবিদগণের সমন্বয়ে বিশেষ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি শরীআ কাউন্সিল গঠন করা হবে। প্রতিটি ইসলামি ব্যাংকের শরীআ কাউন্সিল-এর চেয়ারম্যান বা অন্য কোন সদস্য বিশেষ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন যৌথ শরীআ কাউন্সিলের একজন সদস্য বা প্রতিনিধি নিযুক্ত হবেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বলা যায় যে, আল্লাহ পাকের অশেষ মেহেরবাণী এবং কয়েকজন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে বর্তমানে ৬টি ইসলামি ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এমতাবস্থায় প্রতিটি ব্যাংকের নিজস্ব শরীআ কাউন্সিলের অতিরিক্ত যৌথভাবে বিশেষ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি শরীআ কাউন্সিল গঠন করা দরকার। যৌথভাবে গঠিত বিশেষ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সেন্ট্রাল শরীআ কাউন্সিলেরও স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করার এবং বিভিন্ন ইসলামি ব্যাংকের কর্মকান্ড যে কোন সময় তদারক করার এবং অডিট করার অবাধ স্বাধীনতা থাকতে হবে। যৌথভাবে গঠিত সেন্ট্রাল শরীআ কাউন্সিলের সদস্যগণ উপযুক্ত সম্মানী, সুযোগ সুবিধা এবং তদারক ও অডিট সংক্রান্ত যাবতীয় কাজের খরচ ব্যাংকসমূহ যৌথভাবে বহন করবে। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সেন্ট্রাল শরীআ কাউন্সিলের সংক্রান্ত যাবতীয় আদেশ নিষেধ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মেনে চলতে বাধ্য থাকবে।
আরো পড়ুন: ইসলামি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যাবলী
শরীআ কাউন্সিলের কার্যবালী
ইসলামি ব্যাংকের শরীআ কাউন্সিল নিম্নলিখিত কার্যাবলী সম্পদান করে থাকে-
১. ইসলামি ব্যাংকের যাবতীয় কর্মকান্ড ইসলামি শরীআর ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা তদারক করা এবং যে যে ক্ষেত্রে ইসলামি শরীআর নীতিমালাকে লঙ্ঘন করা হয় সেগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশ দেয়া।
২. ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প, সিদ্ধান্ত, বিজ্ঞপ্তি ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় ইসলামি শরীআর পরিপন্থী হলে তা বাতিল করে দেয়া এবং ব্যাংকের বিভিন্ন সভায় আমন্ত্রণ পেয়ে যোগদান করা।
৩. ইসলামি ব্যাংকিং, ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রকল্প গ্রহণ, বিনিয়োগ পদ্ধতি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিময়, পারস্পরিক অধিকার এবং ইসলামি অর্থ ব্যবস্থা সম্পর্কিত বিভিন্ন পরামর্শ, তথ্য, ইসলামি আইনের ব্যাখ্যা প্রদান এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা করা।
৪. ইসলামি ব্যাংক এবং এতদসংক্রান্ত কোন বিষয়ে বোর্ড অব ডাইরেক্টরস কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং প্রকল্প অনুমোদনের জন্যে শরীআ বোর্ডে পেশ করা হলে তা শরীআ সম্মত কিনা খতিয়ে দেখা এবং শরীআ সম্মত হলে অনুমোদন দেয়া।
৫. ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগ থেকে ইস্যুকৃত সার্কুলার (বিজ্ঞপ্তি) জারী করার পূর্বে তা অনুমোদনের জন্যে পেশ করা হলে তা শরীআ সম্মত কিনা খতিয়ে দেখা এবং শরীআ সম্মত হলে অনুমোদন দেয়া।
৬. ইসলামি ব্যাংকে সালাত এবং এতদসংক্রান্ত ইসলামের অন্যান্য মৌলিক বিষয় কায়েম আছে কিনা তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশ প্রদান করা।
৭. ইসলামি ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার লেনদেন, বিনিয়োগ ও সার্বিক কার্যক্রম ইসলামি শরীআর ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা প্রয়োজনবোধে নিয়মিত অথবা বৎসরে এক বা একাধিক বার অডিট করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। একে 'শরীআ অডিট' বলে আখ্যায়িত করা যেতে পারে। এসদসংক্রান্ত কাজের জন্যে শরীআ বোর্ড প্রয়োজনীয় জনশক্তি কাজে লাগাবে এবং ব্যয়ভার ব্যাংক বহন করবে।
৮. ইসলামি ব্যাংকে ইসলামি শ্রমনীতি বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা-তথা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা, কাজের সময়সূচি, চাকুরীচ্যুতি, সামিয়ক বরখাস্ত, অধিকার, শ্রমিক নির্যাতন এবং এতদসংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে ইনসাফ ও ন্যায় বিচার কায়েম হচ্ছে কিনা তা তদারক করা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৯. শরীআ কাউন্সিল ব্যাংকের যে সকল কর্মকান্ড ও পদ্ধতিতে অনুমোদন দিয়েছে ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রম সেভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা তদারক করা এবং ইসলামি শরীআর নীতিমালার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
১০. ইসলামি ব্যাংক-কে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার ব্যাপারে শরীআ বোর্ডকে সম্যক ভূমিকা রাখা দরকার। ইসলামি ব্যাংকের সমুদয় কার্যক্রম যাতে ইসলামি শরীআ ভিত্তিতে পরিচালিত হয় সেদিকে শরীআ বোর্ডকে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
শরীআ বোর্ডের প্রত্যেক সদস্যকে স্মরণ রাখা দরকার যে, ইসলামের একটি মহৎ ও বৃহৎ কাজের বোঝা তাঁদেরকে দেয়া হয়েছে। সুতরাং ইসলামি ব্যাংকে যদি ইসলামি শরীআর পরিপন্থী কোন কর্মকান্ড সংঘটিত কিংবা চর্চা হয়, আর শরীআ বোর্ড তা তদন্ত না করে কিংবা প্রতিবাদ না করে কিংবা ইসলামি ব্যাংকের যাবতীয় কাজ ইসলামি শরীআর ভিত্তিতে পরিচালিত না করে তাহলে পরকালে আল্লাহর দরবারে এর জন্যে শরীআ বোর্ডকে অধিক দায়ী হতে হবে।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url