ব্যাংকে চাকরি কি হারাম - সরকারি ব্যাংকে চাকরি কি হালাল

 ব্যাংকে চাকরি কি হারাম না হারাম নয়? এক কথায় এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়া সম্ভব নয়। তাই ব্যাংকে চাকরি কি হারাম না হারাম নয়? তা জানতে চাইলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন। নিচে কুরআন হাদিসের দলিলের ভিত্তিতে তুলে ধরা হবে যে, ব্যাংকে চাকরি কি হারাম না হারাম নয়?

সরাসরি সুদের সাথে সম্পৃক্ত ব্যাংকে চাকরি করা সর্বসম্মত ভাবে হারাম। তবে ইসলামিক মূলনীতির ওপরে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকে চাকরি কি হারাম না হারাম নয়? এ ব্যাপারে ইসলামিক স্কলারদের মাঝে মতপার্থক্য রয়েছে। কোন কোন ইসলামিক স্কলার মনে করেন যে, যেকোনো ধরনের ব্যাংকে চাকরি করা হারাম। আবার অনেক ওলামায়ে কেরাম মনে করেন যে, সরাসরি সুযোগগুলোতেই শুধুমাত্র চাকরি করা হারাম আর ইসলামিক ভাবধারায় পরিচালিত ব্যাংকগুলোতে চাকরি করা যেতে পারে। যাইহোক নিচে উভয় পক্ষের মতামত তুলে ধরা হবে। তো আসুন জেনে নেয়া যাক, ব্যাংকে চাকরি কি হারাম কিনা? 

যে সকল ওলামায়ে কেরাম মনে করেন যে, ইসলামী ভাবধারার ব্যাংকগুলোতেও চাকরি করা হালাল নয়, তাদের বক্তব্য হলো। আল্লাহতালা পবিত্র কোরআনে সুদকে সম্পূর্ণরূপে নিষেধ করেছেন। যেহেতু ইসলামী ভাবধারার ব্যাংকগুলো কোন না কোনভাবে সুদের সাথে সম্পৃক্ত, তাই সেই ব্যাংকগুলোতে চাকরি করা বৈধ হবে না। 
পক্ষান্তরে যে সকল ওলামায়ে কেরাম মনে করেন যে ইসলামী মূলনীতির উপরে পরিচালিত ব্যাংক গুলোতে চাকরি করা বৈধ, তাদের বক্তব্য হলো ইসলামী ভাবধারার ব্যাংকগুলো সরাসরিভাবে সুদের সাথে সম্পৃক্ত নয়। যেহেতু শরিয়া ভিত্তিক পরিচালিত ব্যাংকগুলো সরাসরি সুদের সাথে সম্পৃক্ত নয় তাই এই ব্যাংকগুলোতে চাকুরী করা যেতে পারে। 

ব্যাংকে চাকরি কি হারাম কিনা? আশা করি তা জানতে পারলেন। নিচে সরকারি ব্যাংকে চাকরি কি হালাল, ব্যাংকে চাকরি হারাম কেন এবং কোন কোন চাকরি হারাম সে সম্পর্কে নিচের বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। সেই সাথে নিচে বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি হালাল না হারাম, ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করা কি হালাল এবং ব্যাংকে চাকরি আল কাউসার সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। 

সরকারি ব্যাংকে চাকরি কি হালাল

সরকারি ব্যাংকে চাকরি কি হালাল? অনেকের মনে এই ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। সরকারি ব্যাংকে চাকরি কি হালাল কিনা? সে সম্পর্কে আর্টিকেলটির এই অংশে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। মনোযোগ সহকারে নিম্নে বর্ণিত তথ্যগুলো পড়লে আশা করি জানতে পারবেন যে, সরকারি ব্যাংকে চাকরি কি হালাল কিনা? 

পূর্বেই বলা হয়েছে যে, সরাসরি সুদের সাথে সম্পৃক্ত ব্যাংকগুলোতে যেকোনো ধরনের চাকরি করা সম্পূর্ণ হারাম। বাংলাদেশের যতগুলো সরকারি ব্যাংক রয়েছে তার সবগুলোই সরাসরি সুদের সাথে সম্পৃক্ত। বাংলাদেশের কোন সরকারি ব্যাংক শরিয়া ভিত্তিক নয়। যেহেতু বাংলাদেশের কোন সরকারি ব্যাংক সরিয়াভিত্তিক নয় তাই বাংলাদেশের যে কোন সরকারি ব্যাংকে চাকরি করা সম্পূর্ণরূপে হারাম। 

বাংলাদেশের কোন সরকারি ব্যাংক শরিয়া ভিত্তিকভাবে পরিচালিত হতো তাহলে আলোচনা করা যেত যে সেখানে চাকরি করা যাবে কিনা। সরাসরি সুদের ভিত্তিতে পরিচালিত ব্যাংকগুলোতে চাকরি করা হারাম হওয়ার ব্যাপারে সকল ওলামায়ে কেরাম ঐক্যমত পোষণ করেছেন।

সরকারি ব্যাংকে চাকরি কি হালাল? আশা করি এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে পারলেন। ব্যাংকে চাকরি কি হারাম, বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি হালাল না হারাম এবং ব্যাংকে চাকরি আল কাউসার এর ফতোয়া সংক্রান্ত আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে শেষ পর্যন্ত পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগের সাথে পড়তে থাকুন। 

ব্যাংকে চাকরি হারাম কেন - কোন কোন চাকরি হারাম

কোন কোন চাকরি হারাম, সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। আপনি যদি একজন প্রকৃত মুসলিম হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে ব্যাংকে চাকরি করার পূর্বে বা অন্য যেকোনো জায়গায় চাকরি করার পূর্বে আপনাকে জেনে নিতে হবে যে সেই চাকরি হালান না হারাম। কেননা হারাম চাকরির সাথে সম্পৃক্ত হলে আপনি গুনাগার হবেন। 

যাই হোক, ব্যাংকে চাকরি হারাম কেন এবং আর কোন কোন চাকরি হারাম সেই বিষয় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। তাই, ব্যাংকে চাকরি হারাম কেন এবং কোন কোন চাকরি হারাম, সেই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য সাথেই থাকুন। আসুন দেখে নেয়া যাক, ব্যাংকে চাকরি হারাম কেন এবং কোন কোন চাকরি হারাম? 

ব্যাংকে চাকরি হারাম কেন? তাই ইতোমধ্যেই উপরে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। যেহেতু ব্যাংক সুদের কারবার করে থাকে তাই ব্যাংকে চাকরি করা হারাম। প্রশ্ন হলো আর কোন কোন চাকরি করা হারাম? যে সকল চাকরির সাথে সুদের সম্পৃক্ততা রয়েছে সেই চাকরিগুলো নিষেধ। অর্থাৎ এমন চাকরি করা যাবে না যেই চাকরিতে আপনাকে সুদের হিসাব রাখতে হবে, বা সুদের সাক্ষী হতে হবে অথবা সুদের লেখক হতে হবে। 

অর্থাৎ কোনভাবে যদি আপনার চাকুরী সুদের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যায় তাহলে সেই চাকরি সম্পূর্ণরূপে হারাম হবে। এ ব্যাপারে হাদিসে বলা হয়েছে,  জাবির (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, "রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুদদাতা, গ্রহীতা এবং এর লেখক ও সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ দিয়েছেন"। তার মানে হল যে ব্যক্তি সুদ গ্রহণ করবে শুধুমাত্র সেই ব্যক্তি গোনাগার হবে তা কিন্তু নয়। বরং সুদের সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের সকলেই গুনাহগার হবেন। ব্যাংকে চাকরি হারাম কেন এবং কোন কোন চাকরি হারাম আশা করি তা জানতে পারলেন।

ব্যাংকে চাকরি কি হারাম, ব্যাংকে চাকরি হারাম কেন এবং সরকারি ব্যাংকে চাকরি কি হালাল কিনা? সে সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। নিচে, বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি হালাল না হারাম,  ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করা কি হালাল এবং ব্যাংকে চাকরি আল কাউসার সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি হালাল না হারাম

বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি হালাল না হারাম, এ ব্যাপারে যদি আপনি সন্দিহান হয়ে থাকেন তাহলে নিচের তথ্যগুলো মনোযোগের সাথে পড়ুন। আশা করি আপনি আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেয়ে যাবেন। তো আসুন জেনে নেয়া যাক, বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি হালাল না হারাম? বাংলাদেশ ব্যাংক সকল ব্যাংক কে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আর সকল ব্যাংকই যেহেতু সুদের সাথে সম্পৃক্ত তাই, সকল ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি করা হারাম হওয়ার ব্যাপারে ওলামায়ে কেরামের মতামত রয়েছে। 
আরো পড়ুনঃ
যদিও কোন কোন, ওলামায়ে কেরাম মনে করেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের যে সকল শাখায় সুদের কারবার হয় না, অর্থাৎ যেই পদে সুদের হিসাব রাখতে হয় না বা সুদের সাথে সম্পৃক্ত হতে হয় না সে সকল পদে চাকরি করা যেতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি হালাল না হারাম, আশা করি তা জানতে পেরেছেন। ব্যাংকে চাকরি কি হারাম কিনা? সে সম্পর্কে উপর আলোচনা করা হয়েছে। নিচে ব্যাংকে চাকরি আল কাউসার এর ফতোয়া সমূহ তুলে ধরা হবে। 

ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করা কি হালাল

সুদভিত্তিক ব্যাংকে চাকরি করা সর্বসম্মত ভাবে হারাম। এখন প্রশ্ন হলো: ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করা কি হালাল? কেননা ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দাবি করে থাকে যে, তারা কোন ধরনের সুদের সাথে সম্পৃক্ত নয়। তারা শরিয়া ভিত্তিকভাবে ব্যবসার মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করে থাকে। যেহেতু তারা দাবি করে যে, ইসলামী ব্যাংক সুদ মুক্ত, তাহলে ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করা কি হালাল হবে? 

ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করা কি হালাল কিনা? সে সম্পর্কে নিচে যে সকল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, সেগুলো মনোযোগের সাথে পড়লে আপনি নিজে নিজেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন যে, ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করা কি হালাল কিনা? যাই হোক চলুন দেখে নেয়া যাক, ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করা কি হালাল? 

কোন কোন ওলামায়ে কেরাম মনে করেন যে, ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করা হালাল। তাদের যুক্তি হলো, যেহেতু ইসলামী ব্যাংক সরাসরি সুদের সাথে সম্পৃক্ত নয়, এবং তারা ব্যবসার মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করে থাকে তাই ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করা জায়েজ হবে। যদিও কোন ভাবে তারা সুদের সাথে সম্পৃক্ত হয় তাহলে তারা নিজেদের কথা বরখেলাপ করার কারণে গুনাহ হবে এতে করে চাকুরীরতা ব্যক্তি গুনাহগার হবে না। 

পক্ষান্তরে আরেক দল ওলামায়ে কেরাম মনে করেন যে, ইসলামী ব্যাংকের চাকরি করা হবে না। কেননা কোন ব্যাংকের শতভাগ সুদ মুক্ত হতে পারেনা। সুদ যেহেতু ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে পরিচালিত তাই কোন না কোন ভাবে ইসলামী ব্যাংক সুদের সাথে জড়িত। যেহেতু ইসলামী ব্যাংক সুদের সাথে জড়িত রয়েছে তাই এই ব্যাংকে চাকরি করা হালাল হবেনা। 

ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করা কি হালাল না হারাম আশা করি তা জানতে পেরেছেন। ব্যাংকে চাকরি কি হারাম, ব্যাংকে চাকরি হারাম কেন এবং সরকারি ব্যাংকে চাকরি কি হালাল না হারাম? সে সম্পর্কে ইতোমধ্যেই উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সেই সাথে উপরে কোন কোন চাকরি হারাম এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি হালাল না হারাম সে সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। নিচে ব্যাংকে চাকরি আল কাউসার এর ফতোয়া তুলে ধরা হবে। 

ব্যাংকে চাকরি আল কাউসার

ব্যাংকে চাকরি করার ফতোয়া সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর মাসিক আল কাউসারে প্রকাশ করা হয়। তাই অনেকেই আল কাউসার পত্রিকার প্রশ্ন উত্তর পর্ব থেকে ব্যাংকে চাকরি করার ব্যাপারে ফতোয়া জানতে চান। আপনি যদি মাসিক আল কাউসারের, প্রশ্ন উত্তর পর্ব থেকে ব্যাংকে চাকরি করার বিধি-বিধান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান, তাহলে নিম্ন বর্ণিত তথ্য গুলো মনোযোগের সাথে পড়তে থাকুন। মাসিক আল কাউসার ব্যাংকে চাকরি করার ব্যাপারে যে সকল ফতোয়া দিয়েছে সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হবে, তো আসুন জেনে নেয়া যাক, ব্যাংকে চাকরি আল কাউসার। 
আরো পড়ুনঃ
আল কাউসার এর ফতোয়ায অনুযায়ী, সুদি ব্যাংকে চাকরি করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এবং যে সকল ব্যাংক ইসলামী ভাবধারায় পরিচালিত হয় সেই ব্যাংকগুলোতে পারোতো পক্ষে চাকরি না করাই উত্তম। সরাসরি ভাবে হারাম বলে দেওয়া সমীচীন নয়। ব্যাংকে চাকরি আল কাউসার এর ফতোয়া সম্পর্কে আশা করি জানতে পারলেন। 

ব্যাংকে চাকরি কি হারাম এবং কোন কোন চাকরি হারাম আশা করি সে সম্পর্কে ইতিমধ্যেই বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। কেননা উপরে, বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি হালাল না হারাম এবং ব্যাংকে চাকরি আল কাউসার এর ফতোয়া সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে সকলের সাথে শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url