রেডিওথেরাপি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

আপনারা কি রেডিওথেরাপি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণ কি সে সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আমাদের আজকের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য। আজকে আমরা আলোচনা করব রেডিওথেরাপি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে। রেডিওথেরাপি দিলে একটা ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার রোগীর কি কি ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে সেগুলো জানানোর জন্য আমাদের আজকের এই পোস্টটা।
তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই, প্রধান রেডিওথেরাপি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও অন্যান্য ওষুধের সাথে কি রকম প্রতিক্রিয়া ঘটে সে সম্পর্কে।

সূচিপত্রঃ রেডিওথেরাপি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

রেডিওথেরাপি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

রেডিও থেরাপি হচ্ছে এমন একটা চিকিৎসা পদ্ধতি যার উচ্চ শক্তির ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক গামা রশ্মি বা তরঙ্গ, এক্সরে, প্রোটন বা ইলেকট্রন এর মত করা ক্যান্সার কোষ কে মেরে ফেলতে পারে। ১ শতাব্দি আগে রেডিওথেরাপি প্রথম ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত করা হয়েছিল। এই পদ্ধতির কার্যকারিতা তারপর থেকেই উন্নত করতে এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কমানোর জন্য অনেক বড় অগ্রগতি হয়েছেন। ক্যান্সারের বিভিন্ন চিকিৎসার জন্য রেডিওথেরাপি একা বা বিকল্প চিকিৎসাগুলোর সঙ্গে একসাথে ব্যবহার করা যায়।

আরো পড়ুনঃ লেবু দিয়ে পাকা চুল কালো করার উপায়

ক্যান্সার কো সেট ডিএনএকে রেডিওথেরাপিতে ক্ষতিগ্রস্ত করার কারণে হাই এনার্জি ডিম ব্যবহার জড়িত থাকে, যার ফলে তাদের বিভাজন সীমাবদ্ধ এবং বৃদ্ধি হয় বা সরাসরি ক্ষতি হয়ে থাকে। এটা লিনিয়ার এক্সিলেটর বাহ্যিকভাবে মেশিন ব্যবহার করে বা রেডিও একটিভ উৎস এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণভাবে সরবরাহ করে থাকে যেখানে চিকিৎসার দরকার হয়ে থাকে সেই এলাকার মধ্যে বা আশেপাশে স্থাপন করা হয়ে থাকে।

রেডিওথেরাপির বিষাক্ততা

অন্য যে কোন ক্যান্সারের চিকিৎসার মতনই রেডিওথেরাপি চিকিৎসায় আশেপাশে এবং এলাকায় ক্যান্সার কোষের সঙ্গে সুস্থ কোষের ক্ষতি করে থাকে এবং রেডিওথেরাপির বিষাক্ততা সৃষ্টি করতে পারে। রেডিওথেরাপি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নির্ভর করে থাকে ক্যান্সারের অবস্থান এবং ধরন, রোগীর সাধারণ স্বাস্থ্য, রেডিয়েশনের ডোজ, অন্যান্য ক্যান্সার চিকিৎসার প্রভাব যেমন কেমোথেরাপি এবং সার্জারি। এছাড়াও রেডিওথেরাপি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলোর তীব্রতা এক একটা রোগীর মধ্যে এক এক রকম হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ খুসখুসে কাশি দূর করার উপায় - পুরাতন কাশি দূর করার উপায়

রেডিওথেরাপি থেকে কেউ কেউ খুব কম বা কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুভব করতে নাও পারে। অনেকে আবার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুরুতর অভাবে অনুভব করতে পারে। রেডিও থেরাপির পার্থ প্রতিক্রিয়া গুলোকে বিস্তৃতভাবে দেরিতে এবং তীব্রভাবে ভাগ করা যেতে পারে। বিষাক্ত তা বা তীব্র পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া চিকিৎসার শেষের সময় বা তার পরপরই বিকাশ লাভ করে থাকে এবং সাধারণত অস্থায়ী হয়ে থাকে। দেরিতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কিংবা বিষাক্ততা চিকিৎসা সমাপ্তি হবার মাস থেকে বছর পর্যন্ত উপস্থিতি হয়ে থাকে এবং প্রায়ই স্থায়ী হয়ে থাকে।

ত্বকের বিষাক্ততা| রেডিওথেরাপি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়

রেডিওথেরাপি যারা যারা গ্রহণ করেছে তাদের মধ্য থেকে প্রায় 95% ত্বকের বা বিকিরণ ডারমাটাইটিস বিষাক্ততার কোন না কোন রূপ অনুভব করে থাকে। চুলকানি, ত্বক শুষ্কতা, খোসা ছাড়াতে গাঢ় বর্ণ থেকে অগ্রগতি পরিবর্তন করে থাকে। যা শুরু হয়ে থাকে ব্যথা হীন শুষ্ক ত্বকের খোসা ছাড়ানো। যাকে বলা হয় শুষ্ক ডিসক্যামেশন। ত্বকের গভীর স্তরে পরবর্তীতে (ত্বকের ডারমিস স্তর) উন্মোচিত হবার সঙ্গে সঙ্গে সিরাস স্রাব এবং বেদনাদায়ক।

যাকে ওয়েট ডিসক্যামেশন বলা হয়। কমই খুব, আরো যদি অগ্রগতি হয়ে থাকে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুরুতর যেমন রক্তপাত ঘটানো বা আলসার গঠনে সহায়তা করতে পারে। রেডিও থেরাপি দেয়ার ফলে ত্বক কালো ও শুষ্ক হয়ে যায়। ত্বকের চামড়া উঠতে থাকে, এমনকি চুলকানি আলসার ও হয়ে থাকে। রেডিওথেরাপি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ত্বকের বিষাক্ততা সৃষ্টি করে।

ওরাল মিউকোসাইটিস| রেডিওথেরাপি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

রেডিওথেরাপি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ওরাল মিউকোসাইটিস হতে পারে। ওরাল মিউকোসাইটিস হচ্ছে জিহ্বা, মুখের শ্লেষ্মা এবং গলবিল প্রবাহের পরে মাথা এবং ঘাড়ের ক্যান্সার হয়ে থাকে। যেমন জিহ্বা এবং মুখের শ্লেষ্মা ক্যান্সার ইত্যাদি। এটা বিরূপ প্রভাব ফেলে রোগীর জীবনযাত্রার মানের ওপর। এটা মাথা এবং ঘাড়ের ক্যান্সার বিকিরণকারী রোগীদের ভিতরে ৮০% পর্যন্ত ঘটে থাকে। মাথা ও ঘাড়ের ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে রেডিওথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করে 56% রোগী গ্রেড তিন এবং চার রেকর্ড করেছেন।

আরো পড়ুনঃ ইমিউনিটি কি - ইমিউনিটি কাকে বলে - ইমিউনিটি বাড়ানোর উপায়

ওরাল মিউকোসাইটিস শুরু হয় লালচে ভাব হয়ে এবং ছোট ছোট হয়ে আলছারে পরিণত হয়ে থাকে এবং পরবর্তীতে একত্রিত হয়ে তীব্র ব্যথা সহ বড় ধরনের আলসারের পরিণত হয়ে থাকে। এটা যদি আরও এগিয়ে যায় তাহলে পরবর্তীতে গভীর আলসার গঠন করবে এবং রক্তপাতের মত গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়ে থাকে। মিউকোসাইটিসের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা এবং গিলতে অসুবিধা বৃদ্ধি পেতে থাকে। বিষাক্ততা যদি গুরুতর হয়ে যায়, গ্রেড সাধারণত তিন এবং তার উপরে, তখন ডাক্তার কিছু সময়ের জন্য আপনার বিকিরণ থেরাপি থামিয়ে দেবে এবং বিষাক্ততা একটু কম হলে এটা দেয়া আবার শুরু করে দিবে।

শেষ কথাঃ রেডিওথেরাপি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

রেডিওথেরাপি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রেডিও থেরাপির বিষাক্ততা ওরাল মিউকোসাইটিস ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোষ্টটি ভালোভাবে পড়ুন, আশা করি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। রেডিওথেরাপি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে যদি সবার আগে জানতে চান তাহলে আমাদের সাথেই থাকুন।

আজ আর নয়, রেডিওথেরাপি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করি আমরা আপনার উত্তরটি দিয়ে দেবো। তাহলে আমাদের আজকের এই রেডিওথেরাপি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। ২৩৭৬৬

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • free google gift card
    free google gift card 5 August 2023 at 13:16

    নাইস আর্টিকেল

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url