গবাদিপশুর অনধিকার প্রবেশ আইন, ১৮৭১

 গবাদিপশুর অনধিকার প্রবেশ আইন, ১৮৭১


দফা-৮। গবাদিপশু অনধিকার প্রবেশ আইন, ১৮৭১


যেহেতু বিষয়টি নিয়ে গ্রাম এলাকায় প্রায় দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় সেজন্য আইনটি পূর্ণাঙ্গ আলোচনা করা হলঃ


১৮৭১ সালের ১নং আইন গবাদিপশুর অনধিকার প্রবেশ আইনের সংহতকরণ ও সংশোধনের জন্য আইন।


যেহেতু গবাদিপশুর অনধিকার প্রবেশ আইনের সংহতকরণ ও সংশোধন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়, সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হল:



প্রথম পরিচ্ছেদ


র ন


প্রারম্ভিক


১। শিরোনাম ও আওতাঃ


ব্য


(১) এই আইন গবাদিপশুর অনধিকার প্রবেশ আইন, ১৮৭১ নামে অভিহিত করা হবে।


(২) এটি সমগ্র বাংলাদেশে কার্যকরী হবে।


২-(বাতিল করা হয়েছে)


৩। সংজ্ঞাঃ


না


এই আইন অনুসারে:


P


"পুলিশ অফিসার" বলতে গ্রাম্য চৌকিদারকেও বুঝাবে, এবং "গবাদিপশু" বলতে হাতি, উট, মহিষ, মাদি ঘোড়া, টাট্টু ঘোড়া, অশ্ব-শাবক, বাচ্চা ঘোটকী, খচ্চর, গাধা, শূকর, ভেড়া-ভেরী, বাচ্চা মেষ, ছাগল ও ছাগলের বাচ্চাও বুঝাবে;


"স্থানীয় কর্তৃপক্ষ” অর্থ যেকোন ব্যক্তিকে উক্ত সময়ে আইন অনুসারে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে কোন বিষয়ে কর্তব্য পালন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য ক্ষমতা দেয়া হবে তিনি; এবং


"স্থানীয় তহবিল" অর্থ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ও নিয়ন্ত্রণে রক্ষিত যে কোন তহবিল।

খোঁয়াড় ও খোঁয়াড় রক্ষক


৪। খোঁয়াড়:


সরকারের সাধারণ নিয়ন্ত্রণসাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট জেলার ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন সময় যে সকল স্থান নির্দেশ করবেন সে সকল স্থানে খোঁয়াড় স্থাপিত হবে।


প্রত্যেক খোঁয়াড় যে গ্রামের অধিবাসী কর্তৃক ব্যবহৃত হবে সংশ্লিষ্ট জেলার ম্যাজিস্ট্রেট তা নির্ধারণ করবেন।


৫। খোঁয়াড় নিয়ন্ত্রণ:


সসফাস


খোঁয়াড়ে আবদ্ধ পশুর খাদ্য বাবদ ব্যয় ধার্যকরণ: খোঁয়াড়সমূহ সংশ্লিষ্ট জেলার ম্যাজিস্ট্রেটের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবে এবং তিনি খোঁয়াড়ে আবদ্ধ গবাদিপশুর খাদ্য ও পানীয় সরবরাহের ব্যয় ভার নির্ধারণ করবেন ও বিভিন্ন সময় উক্ত হারের পরিবর্তন করতে পারবেন।


৬। খোঁয়াড়রক্ষক নিয়োগ:


সরকার প্রত্যেকটি খোঁয়াড়ের জন্য খোঁয়াড়রক্ষক নিয়োগ করবে।


খোঁয়াড়রক্ষক অন্য চাকরিও করতে পারবেন: কোন খোঁয়াড়রক্ষক একই সঙ্গে সরকারের অধীনে অন্য কোন চাকরিতেও নিযুক্ত থাকতে পারবেন।


খোঁয়াড়রক্ষক সরকারি কর্মচারী: দণ্ডবিধিতে বর্ণিত অর্থ অনুসারে প্রত্যেক খোঁয়াড়রক্ষক সরকারি কর্মচারী বলে গণ্য হবে।


খোঁয়াড়রক্ষকের কর্তক্য


৭। রেজিস্টার রাখা ও রিটার্ন দাখিল :


সরকার সময় সময়ে যেমন নির্দেশ দেন, খোঁয়াড়রক্ষকদের সে মোতাবেক রেজিস্টার রাখতে ও তদনুরূপ রিটার্ন দাখিল করতে হবে।


৮। গবাদিপশু ধরার রেজিস্টার:


যখন কোন গবাদিপশু খোঁয়াড়ে আনা হবে, তখন খোঁয়াড়রক্ষককে নিম্নলিখিত তথ্য তার রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে:


(ক) পশুর সংখ্যা ও বিবরণ;


(খ) যে দিন যে সময়ে পশুগুলোকে খোঁয়াড়ে আনা হয়েছে;


(গ) যে ধরেছে তার নাম ও ঠিকানা;


(ঘ) যদি জানা যায়, তাহলে গবাদিপশুগুলোর মালিকের নাম ও বাড়ির ঠিকানা; এবং খোঁয়াড় রক্ষক যে ব্যক্তি পশু ধরেছে তাকে অথবা তার প্রতিনিধিকে রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ বিবরণীর একটি নকল দিবেন।


৯। দায়িত্ব গ্রহণ ও গবাদিপশুকে খাদ্য সরবরাহও


খোঁয়াড়রক্ষক পশুগুলোর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং এই আইনের নির্দেশ মোতাবেক সেগুলোর বিলিব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত গবাদিপশুগুলোকে খাওয়াবেন ও পানি সরবরাহ করবেন।


তৃতীয় পরিচ্ছেদ


গবাদিপশু খোঁয়াড়ে প্রদান


১০। গবাদিপশুর দ্বারা জমির ক্ষতি:


জমির চাষী বা দখলকারীর বা যে ব্যক্তি উক্ত জমিতে ফসলের চাষ করার জন্য ও ফসল উৎপাদনের জন্য অর্থ সরবরাহ করেছে বা উক্ত ফসল বা উৎপন্ন দ্রব্য বা এর অংশবিশেষের ক্রেতা, বন্ধকগ্রহীতা, সে ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট জমিতে অনধিকার প্রবেশ, বা এর ক্ষতিসাধন অথবা কোন ফসল বা উৎপন্ন দ্রব্যের মধ্যে অনধিকার প্রবেশ করার জন্য যেকোন গবাদিপশুকে ধরতে বা কারও দ্বারা ধরাতে পারবে এবং উক্ত জমি যে গ্রামের এলাকায় অবস্থিত্ব সে এলাকার জন্য নির্ধারিত খোঁয়াড়ে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে সে গবাদিপশুগুলোকে পাঠাবে বা পাঠানোর বন্দোবস্ত করবে।


অনুরূপ গবাদিপশু ধরায় পুলিশের সাহায্য: পুলিশের সকল অফিসার, যখন দরকার হবে তখন;


(ক) অনুরূপ পশু ধরতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হলে তা প্রতিরোধ; এবং


(খ) যারা গবাদিপশু ধরছে তাদের নিকট হতে পশু ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা প্রতিহত করবে।


১১। সর্বসাধারণের রাস্তা, সেচের খাল এবং বাঁধের ক্ষতিসাধনকারী পশু:


সে সকল লোক সর্বসাধারণের রাস্তা, খেলার মাঠ, উদ্যান বাটী বা বাগান, সেচের খাল, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, বাঁধ অনুরূপ জিনিসের দায়িত্বে থাকবে, তারা এবং পুলিশের লোকেরা অনুরূপ রাস্তা, মাঠ, বাগান, খাল, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বাঁধ এবং অনুরূপ জিনিস অথবা অনুরূপ রাস্তা, মাঠ, বাগান, খাল, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বাঁধ বা তৎসংশ্লিষ্ট অন্যান্য জিনিসের ধারে বা পাশে ক্ষতিসাধনের জন্য যে কোন গবাদিপশুকে ধরতে বা অন্যের দ্বারা ধরাতে পারবে এবং নিকটবর্তী খোঁয়াড়ে তাদেরকে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে নিজেরাই পাঠাতে বা পাঠানোর বন্দোবস্ত করতে পারবে।


১২। খোঁয়াড়ে আবদ্ধ পশুর জন্য জরিমানা:


উপরিউক্ত অপরাধের জন্য খোঁয়াড়ে আবদ্ধ প্রত্যেকটি গবাদিপশুর জন্য খোঁয়াড়রক্ষক, এতদসম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সময়কালে সরকার কর্তৃক সরকারি গেজেটে নোটিশ দিয়ে যে হার ধার্য করে দিবেন সে হারে জরিমানা ধার্য করবে। বিভিন্ন অঞ্চলের জন্য জরিমানার হারের তারতম্য হতে পারে।


অনুরূপভাবে ধার্য ও আদায়কৃত জরিমানার সমুদয় টাকা সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট কর্মচারীর মারফত সংশ্লিষ্ট জেলার ম্যাজিস্ট্রেট সকাশে পাঠিয়ে দিতে হবে।


জরিমানা ও পশুর খোরাকী বাবদ ধার্য খরচের তালিকা: জরিমানার


তালিকা ও গবাদিপশুর খাদ্য ও পানীয় সরবরাহের জন্য ধার্য খরচের হারের একটি তালিকা একটি প্রকাশ্য স্থানে অথবা প্রত্যেকটি খোঁয়াড়ের নিকটস্থ এলাকায় লটকিয়ে দিতে হবে।


চতুর্থ পরিচ্ছেদ


গবাদিপশু প্রত্যর্পণ বা বিক্রয়


১৩। মালিক যখন গবাদিপশুর দাবি করবে এবং জরিমানা ও অন্যান্য খরচ প্রদান করবে তখনকার কার্যবিধি:


খোঁয়াড় আবদ্ধ গবাদিপশুর মালিক অথবা তার প্রতিনিধি উপস্থিত হয়ে যদি পশুগুলো ফেরৎ চায়, তাহলে খোঁয়াড়রক্ষক অনুরূপ গবাদিপশুর জন্য ধার্য জরিমানা এবং অন্যান্য খরচা নিয়ে পশুগুলো তাকে ফেরত দিবে। (5)


মালিক অথবা তার প্রতিনিধি পশুগুলো ফেরত নিয়ে খোঁয়াড়রক্ষক কর্তৃক রক্ষিত রেজিস্টারে সেগুলোর জন্য একটি রসিদ স্বাক্ষর করে দিবে।


১৪। এক সপ্তাহের মধ্যে যদি গবাদিপশু দাবি না জানালে তখনকার কার্যবিধি:


গবাদিপশু খোঁয়াড়ে দেবার তারিখ হতে এক সপ্তাহের মধ্যে কেউ যদি উক্ত গবাদিপশুর দাবি করতে না আসে, তাহলে রক্ষণ সে সম্পর্কে নিকটস্থ থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের নিকট অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার ম্যাজিস্ট্রেট এই ব্যাপারে অপর কাউকেও নিয়োগ করলে, তাকে জানাবেন।


উক্ত অফিসার তখন তার অফিসে প্রকাশ্যে একটি জায়গায় নিম্নোক্ত বিবরণ সম্বলিত একটি নোটিশ টাঙ্গিয়ে দিবেন:


এবং যে স্থানে সে গবাদিপশু ধরা পড়েছে, তার নিকটবর্তী হাট বাজার এবং গ্রামে ঢোল সহরৎ করে উক্ত গবাদিপশুগুলো সম্পর্কে ঘোষণা প্রচার করবেন।


এই নোটিশ দেবার তারিখ হতে সাত দিনের মধ্যে কেউ যদি উক্ত গবাদিপশু দাবি করতে না আসে তাহলে উক্ত অফিসার কর্তৃক অথবা তার সমক্ষমতাসম্পন্ন ও উক্ত কার্যের জন্য নিয়োজিত অপর কোন অফিসার কর্তৃক সেগুলোকে প্রকাশ্য নিলামে বিক্রয় করা হবে; সংশ্লিষ্ট জেলা কর্তৃক বিভিন্ন সময় নির্দেশিত শর্তসাপেক্ষে এবং তদীয় নির্দেশিত স্থানে ও সময়ে উক্ত নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।


তবে শর্ত থাকে যে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যদি মনে করেন যে, অনুরূপ কোন গবাদিপশু উপরিউক্তরূপ বিক্রয় করা হলে উপযুক্ত মূল্য পাওয়া যাবে না, তাহলে তিনি যেভাবে সেগুলোর ব্যবস্থা করা ঠিক হবে বলে মনে করবেন, সেভাবেই তাদের ব্যবস্থা করতে হবে।


১৫। যেসব মালিক গবাদিপশু ধরা সম্পর্কে আপত্তি উত্থাপন করবে কিন্তু দাবির অর্থ জমা দিয়ে তাদেরকে পশু প্রত্যর্পণ:


যদি কোন মালিক বা তার প্রতিনিধি উপস্থিত হয়ে গবাদিপশু ধরার বৈধতা সম্পর্কে এ মর্মে আপত্তি করে যে তার পশু ধরা বেআইনি হয়েছে এবং ২০ ধারা অনুসারে তৎসম্পর্কে মামলা দায়ের করবে, তাহলে উক্ত গবাদিপশুর দাবিকৃত জরিমানা ও অন্যান্য খরচের টাকা সমুদয় অর্থ জমা দিলে তার নিকট উক্ত পশু প্রত্যর্পণ করতে হবে।


১৬। মালিক যখন জরিমানার বা অন্যান্য খরচের টাকা আদায় দিতে অস্বীকার করে বা উক্ত দাবি মেনে নিতে না চাহে তখনকার পদ্ধতিঃ


গবাদিপশুর মালিক বা তার প্রতিনিধি যদি ৯৫ ধারায় বর্ণিত ক্ষেত্রে দাবিকৃত অর্থ আদায় দিতে অস্বীকার করে বা উক্ত দাবি অস্বীকার করে বা উক্ত জরিমানার টাকা ও অন্যান্য খরচ জমা দিতে না চায়, তাহলে উক্ত গবাদিপশু বা তাদের যতগুলো প্রয়োজন, ততগুলো পশু ১৪ ধারায় বর্ণিত অনুরূপ স্থানে ও সময় প্রকাশ্য নিলামে অনুরূপ অফিসার কর্তৃক বিক্রয় করা হবে।


জরিমানা ও অন্যান্য খরচের টাকা কেটে নেয়া: ধার্যকৃত জরিমানা এবং গবাদিপশুর খাদ্য ও পানীয়ের জন্য প্রয়োজনীয় খরচের টাকা, তৎসহ বিক্রয় বাবদ ব্যয় যদি কিছু থাকে, তবে তা একুনে উক্ত নিলামে বিক্রয়লব্ধ মোট টাকা হতে কেটে নিতে হবে।


অবিক্রীত গবাদিপশু ও অবশিষ্ট টাকা ফেরত দেয়া: অবিক্রীত গবাদিপশু এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থের অবশিষ্ট যদি কিছু থাকে তবে তা উক্ত মালিক বা তার প্রতিনিধিকে নিম্নোক্ত তথ্যসম্বলিত হিসাবসহ ফেরৎ দিতে হবে:


(ক) ধৃত গবাদিপশুর সংখ্যা


(খ) যে সময় তাদেরকে খোঁয়াড়ে নেয়া হয়েছে,


(গ) জরিমানা ও অন্যান্য খরচ বাবদ টাকার পরিমাণ।


(ঘ) বিক্রিত গতদিপশুর সংখ্যা।


(৩) বিক্রনালব্ধ অর্থের পরিমাণ এবং


(চ) কিভাবে এই বিক্রয়লত অর্থ ব্যয় করা হয়েছে।


উক্ত গবাদিপশুর মালিক অথবা ভার প্রতিনিধির নিকট প্রত্যর্পিত পশুর এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থের কিন্তু যদি তিনি ফেরত পান, তাহলে তা উল্লেখ করে উক্ত হিসাব অনুসারে একটি লিখিত রসিদ দিবেন।


১৭। জরিমানা, অন্যান্য খরচা ও বিক্রয়লব্ধ অতিরিক্ত টাকার ব্যবস্থা:


যে অফিসার নিলাম বিক্রয় পরিচালনা করেছেন, তিনি সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট অনুরূপভাবে কেটে নেয়া জরিমানার টাকা পাঠিয়ে দিবেন।


১৬ ধারা মোতাবেক গবাদিপশুর খাদ্য ও পানীয় বাবদ খরচের টাকা অনুরূপভাবে কেটে নেয়া হবে, তা খোঁয়াড়রক্ষককে প্রদান করতে হবে, খোঁয়াড় রক্ষক ও ১৩ ধারা অনুযায়ী তৎকর্তৃক অনুরূপ খরচ বাবদ প্রাপ্ত সমুদত্ত অর্থ ব্যয় করবে।


পরাদিপশু বিক্রয়ের উদ্বৃত্ত যে অর্থের কোন দাবিদার থাকে না, ডা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট পাঠাতে হবে। তিনি তিন মাস ভাল উক্ত অর্থ মজুদ তহবিল হিসেবে রক্ষা করবেন এবং উক্ত সময়ের মধ্যেও গদি কেউ যে অর্থ দাবি না করে বা দাবি প্রতিপন্ন না হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে উক্ত মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে উক্ত অর্থ রাজস্ব খাতে সরকারের আয় বলে বিবেচিত হবে।


১৮। বাতিল করা হয়েছে।


১৯। আইন অনুসারে বিক্রিত গবাদিপশু অফিসার বা খোঁয়াড়রক্ষক ক্রয় করবে না।


পুলিশ কোন অফিসার অথবা খোঁয়াড়রক্ষক, যাদেরকে অত্র আইনের বিধান অনুসারে নিযুক্ত করা হয়েছে, তাদের কেউ প্রত্যক্ষবাবে বা পরোক্ষভাবে এ আইনের আওতা অনুসারে বিক্রিত গরাবিশাহ খরিদ করতে পারবে না।


এই পরিচ্ছেদের পূর্বোক্ত অংশের ধারা মোতাবেক না হলে কোন ধোঁয়াড়রক্ষক ধোঁয়াড়ে রক্ষিত কোন গবাদিপক ছেড়ে দিবে না ফেরৎ দিতে নাঃ বেরষ সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট বা সিভিল কোর্ট কর্তৃক অনুরূপ ক্ষেত্রে ছেড়ে দেয়া বা প্রত্যর্শন করার নির্দেশ দেয়া হলোই করে তা করতে পারবে।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ।


বেআইনিভাবে গবাদিপশু ধরা ও আটক করা সম্পর্কিত অভিযোগ


২০। অভিযোগ করার ক্ষমতা:


আপ


কোন ব্যক্তি, যার গবাদিপশু এই আইনের বলে ধরা হয়েছে এবং ধরার পর এই আইন লঙ্ঘন করে আটক রাখা হয়েছে, তার গবাদিপশু ধরার তারিখ হতে দশদিনের মধ্যে যেকোন সময়ে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা যাকে এ শ্রেণীর অভিযোগ গ্রহণ এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দ্বারা প্রেরিত না হলেও এর বিচার করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, অনুরূপ যেকোন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।


২১। অভিযোগের পদ্ধতিঃ


অভিযোগকারী স্বয়ং উপস্থিত হয়ে অথবা যে ব্যক্তিগতভাবে ঘটনার বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত, এমন কোন প্রতিনিধির মারফত অভিযোগ দায়ের করেন। এটি লিখিতভাবে অথবা মৌখিকভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়, তাহলে এর সারমর্ম উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট লিখে নিবেন।


ম্যাজিস্ট্রেট যদি অভিযোগকারী বা তার প্রতিনিধিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উক্ত অভিযোগ সত্য বলে বিশ্বাস করার কারণ দেখতে পান তাহলে তিনি যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, সে ব্যক্তিকে তলব করবেন এবং বিষয়টি সম্পর্কে তদন্ত করে দেখবেন।


২২। অবৈধভাবে পশু ধরা ও আটক রাখার জন্য ক্ষতিপূরণ:


বিচারে যদি উক্ত গবাদিপশু ধরা ও আটক রাখা অবৈধ হয়েছে বলে প্রতিপন্ন হয়, তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত অভিযোগকারীর পক্ষে এ মর্মে রায় দিবেন যে, গবাদিপশু ধরা ও আটক রাখার দরুন যে ক্ষতি হয়েছে, তজ্জন্য সে যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাবে। এ ক্ষতিপূরণের পরিমাণ একশত টাকার অধিক হবে না এবং যে ব্যক্তি এভাবে গবাদিপশু ধরেছে বা আটক রেখেছে, তাকে উক্ত গবাদিপশু খালাস করার দরুন অভিযোগকারী কর্তৃক প্রদত্ত জরিমানা ও অন্যান্য খরচের টাকাসহ উক্ত ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায় দিতে হবে।


গবাদিপশু ছেড়ে দেয়া: যদি গবাদিপশু খালাস করা না হয়ে থাকে,


তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষতিপূরণ দানের পক্ষে রায় দানের সাথে সাথে গবাদিপশু ছেড়ে দেবার নির্দেশ দিবেন এবং যে ব্যক্তি উক্ত পশু ধরেছে ও আটক রেখেছে তার নিকট হতে এ আইন অনুসারে ধার্যকৃত জরিমানা ও অন্যান্য খরচের টাকা আদায় করার নির্দেশ দিবেন।


২৩। ক্ষতিপূরণের টাকা আদায়:


পূর্বোক্ত ২২ ধারায় উল্লেখিত ক্ষতিপূরণ, জরিমানা ও অন্যান্য খরচের টাকা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ধার্য জরিমানা হিসেবে আদায় করা হবে। লাল। ০৫


ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ


শাস্তি


২৪। গবাদিপশু ধরায় জোরপূর্বক বাধা দান অথবা ছিনিয়ে


নেবার শাস্তি:


যে ব্যক্তি আইনের আওতা অনুসারে ধরার উপযুক্ত বলে বিবেচিত গবাদিপশু ধরার জোরপূর্বক বিরোধিতা করবে এবং যে ব্যক্তি ধৃত গবাদিপশু কোন খোঁয়াড় হতে বা যে ব্যক্তি হাতের কাছে থাকায় এবং এই আইনের বলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে উক্ত গবাদিপশুগুলোকে খোঁয়াড়ে নিয়ে যেতে উদ্যত হয়েছে তার নিকট হতে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিবে, সে ব্যক্তি ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হলে সে ঊর্ধ্ব পক্ষে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ঊর্ধ্বপক্ষে পাঁচশত টাকা জরিমানা অথবা একসঙ্গে উভয়বিধ দণ্ডপ্রাপ্ত হবে।


২৫। গবাদিপশুর অনধিকার প্রবেশ দ্বারা ক্ষতিসাধনের দরুন জরিমানা আদায়:


কোন জমিতে গবাদিপশুর অনধিকার প্রবেশ ঘটিয়ে ক্ষতিসাধনের জন্য পরবর্তী ধারা মোতাবেক ধার্য জরিমানার টাকা উক্ত সমুদয় গবাদিপশু অথবা উক্ত দলের যেকোন পশু বিক্রয় করে আদায় করা যেতে পারে। যেকোন পণ্ড অনধিকার প্রবেশ করেছে সেগুলোকে অনধিকার প্রবেশ আইন অনুসারে ধরা হোক বা না হোক এবং যে ব্যক্তি এই অপরাধ করেছে বলে অভিযুক্ত হয়েছে গবাদিপশুগুলো তার নিজস্ব সম্পদ হোক বা অনধিকার প্রবেশকালে কেবল তার তত্ত্বাবধানে থাকলেই এই বিধান প্রযোজ্য হবে।


২৬। শূকর কর্তৃক কোন জমি, জমির ফসল বা সাধারণের রাস্তার ক্ষতিসাধনের দণ্ডঃ


শূকরের কোন মালিক বা রক্ষক অবহেলা করে অথবা অন্য কোনভাবে, উক্ত শূকরের অনধিকার প্রবেশ ঘটে যদি কোন ফসল অথবা জমির কোন উৎপন্ন দ্রব্য, অথবা কোন সাধারণের রাস্তার ক্ষতিসাধন করে বা ক্ষতির কারণ হয় বা ক্ষতিসাধনে উৎসাহিত করে তাহলে উক্ত মালিক বা রক্ষক ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হলে ঊর্ধ্বপক্ষে দশ টাকা জরিমানায় দণ্ডিত হবে।


সরকার সরকারি গেজেটে নোটিশ দিয়ে সময় সময়, উক্ত নোটিশ বিশেষভাবে উল্লেখিত অঞ্চলের ব্যাপারে, অত্র ধারাটির প্রথম অংশ সম্পর্কে এ


মর্মে নির্দেশ দান করতে পারে যে, এই ধারার উক্ত অংশটি বাদ পড়বার ফলে কেবল শূকরের স্থলে সাধারণভাবে সকল গবাদিপশু অথবা নোটিশে উল্লেখিত বিশেষ বিশেষ শ্রেণীর গবাদিপশুর বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে অথবা "দশ টাকা" শব্দটির স্থলে "পঞ্চাশ টাকা" বিকল্প হিসেবে ধরে নিতে হবে অথবা উভয়বিধ প্রসঙ্গ ও উভয়বিধ বিকল্প বুঝে নিতে হবে।


২৭। কর্তব্য পালনে ব্যর্থ খোঁয়াড়রক্ষকের দণ্ড: ১০১০১৯)


কোন খোঁয়াড়রক্ষক এই আইনের ১৯ ধারার বিধানের খেলাপ করে গবাদিপশু ছেড়ে দেয়া বা ক্রয় করা বা প্রত্যর্পণ করার কাজে লিপ্ত হলে, অথবা খোঁয়াড়ে আবদ্ধ গবাদিপশুকে উপযুক্ত খাদ্য ও পানীয় সরবরাহে বিরত হলে অথবা এই আইন অনুসারে তাকে যে সকল দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেগুলোর কোনটি পালন করতে অপারগ হলে সে অন্য যেসব দণ্ডে দণ্ডনীয় হবে সেগুলো ছাড়াও ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হলে ঊর্ধ্বপক্ষে আরও পঞ্চাশ টাকা জরিমানা দণ্ডে দণ্ডিত হবে। তিতাসীন


অনুরূপ জরিমানার টাকা খোঁয়াড়রক্ষকের বেতনের টাকা হতে কেটে আদায় করা হবে।


২৮। ২৫, ২৬ বা ২৭ ধারা অনুসারে আদায়কৃত


জরিমানার অর্থ প্রয়োগ:


এই আইনের ২৫, ২৬ অথবা ২৭ ধারা অনুসারে আদায়কৃত সমুদয় জরিমানার টাকা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে দণ্ডদাতা ম্যাজিস্ট্রেটের সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রমাণিত ক্ষয় বা ক্ষতির দরুন ক্ষতিপূরণ বলে গণ্য হবে।


সপ্তম পরিচ্ছেদ


ক্ষতিপূরণের জন্য মামলা


২৯। ক্ষতিপূরণের জন্য মামলার অধিকার সংরক্ষণ:


গবাদিপশুর অনধিকার প্রবেশের ফলে যার ফসল বা জমির অন্য কোন উৎপন্ন দ্রব্যের ক্ষতি হয়েছে অনুরূপ কোন ব্যক্তিকে কোন উপযুক্ত আদালতে ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের হতে বিরত করতে পারে, এ আইনে তেমন কোনই বিধান নাই।


৩০। ওয়াসিলঃ


দোষী সাব্যস্তকারী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশক্রমে এই আইন অনুসারে অনুরূপ ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ বাবদ যে টাকা প্রদান করা হয়েছে, তা নির্ধারণ করে অতঃপর দাবিকৃত ক্ষতিপূরণ অনুরূপ মামলার রায় অনুসারে প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হতে ওয়াসিল করে দেয়া হবে। 


সপ্তম পরিচ্ছেদ


অতিরিক্ত বিধান


৩১। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিকট কতিপয় বিষয় হস্তাত্তরের ব্যাপারে সরকারের ক্ষমতাঃ


সরকার বিভিন্ন সময় সরকারি গেজেটে নোটিশ দিয়ে:


(ক) কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে যে এলাকায় এই আইন বলবৎ রয়েছে, এর কোন অংশে অবস্থিত সে এলাকায়, সরকারের বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এ আইনের আওতাভুক্ত কার্যাবলির সবগুলোই বা কতিপয় অংশের দায়িত্ব হস্তান্তরিত করতে পারেন তবে তা উক্ত স্থানীয় কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্তসাপেক্ষে এলাকার মধ্যে বলবৎ থাকবে।


৩২। পৌরসভার চেয়ারম্যানকে কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ১৪ ধারার অধীন কর্মকর্তার কার্য সম্পাদন করার


ক্ষমতা অর্পণ করতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অধিকার:


(১) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এই আইনের অধীন ১৪ ধারা অনুসারে কর্মকর্তার কার্য সম্পাদন করার জন্য পৌরসভার চেয়ারম্যানকে এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে নিয়োগ করতে পারেন। নিযুক্ত ব্যক্তিগণ তাদের স্ব স্ব এলাকার খোঁয়াড়ে প্রদত্ত গবাদিপশু সম্পর্কে দায়িত্ব পালন করবেন।


তবে শর্ত থাকে যে, এভাবে নিযুক্ত চেয়ারম্যান তাদের কমিশনার এবং সদস্যকে তাদের সকল অথবা কোন ক্ষমতা অর্পণ করতে পারবেন এবং এর প্রত্যাহার করতে পারবেন।


(২) চেয়ারম্যানগণ, কমিশনার বা সদস্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই ধারার বিক্রিত কোন গবাদিপশু ক্রয় করতে পারবে না।


৩৩। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কতিপয় ক্ষমতা অর্পণ:


জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লিখিত আদেশ দ্বারা নিম্নলিখিত ক্ষমতা তার যে কোন অধীনস্থ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট অর্পণ করতে পারবেন:


(১) খোঁয়াড়ে আবদ্ধ দাবিহীন গবাদিপশু ১৪ ধারার শর্ত মোতাবেক বিলি বন্দোবস্ত করার পদ্ধতি নির্ধারণ।


(২) ১৭ ধারা অনুযায়ী গবাদিপশু বিক্রয়ের দাবিহীন অতিরিক্ত অর্থ সম্পর্কে দাবি নিষ্পত্তিকরণ।


দফা-৯। উপরিউক্ত যে কোন অপরাধ সংঘটনের চেষ্টা বা এটি সংঘটনের সহায়তা প্রদান:


১ দফা ৯-এর বিধান মতে অত্র আইনের তফসিল-এর দ্বিতীয় অংশের বর্ণিত দফা ১ হতে ৮ পর্যন্ত কোন অপরাধ সংঘটনের জন্য বা তা সংঘটনে সহায়তা



করা ও অপরাধ হিসেবে গণ্য এবং এর শাস্তি মূল অপরাধের সমতুল্য। সহায়তা সম্পর্কে দণ্ডবিধির ধারা ১০৭-এ উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি সহজ উপলব্ধির জন্য ধারাটি নিম্নে উল্লেখ করা হলো:


ধারা ১০৭। কোন ব্যাপারে সহায়তা প্রদান:


কোন ব্যক্তি কোন ব্যাপারে সহায়তা দান করেছে বলে বিবেচিত হয়, যদি সে ব্যক্তি-


প্রথমত, কোন ব্যক্তিকে উক্ত ব্যাপারে প্ররোচনা দেয়; নিকাহীদি। ৩


দ্বিতীয়ত, উক্ত কার্যটি করবার জন্য কোন ব্যক্তির বা ব্যক্তিদের সাথে কোন চক্রান্তে লিপ্ত হয়, যার ফলে চক্রান্ত অনুসারে কোন কার্য করা হয় কিংবা কোন কার্য করা হতে বেআইনিভাবে বিরত থাকা হয় এবং উক্ত কার্য করার জন্যই তা করা হয়;


(5)


তৃতীয়ত, কোন কার্য করে কিংবা বেআইনিভাবে কোন কার্য করা হতে বিরত থেকে উপর্যুক্ত কার্যে ইচ্ছাপূর্বক সাহায্য করে। (۶)


ব্যাখ্যা ১: যদি কোন ব্যক্তি ইচ্ছাপূর্বক কোন বাস্তব গুরুত্বসম্পন্ন ঘটনার, যা প্রকাশ করতে সে বাধ্য-ভ্রান্ত বিবরণ প্রকাশ করে কিংবা ইচ্ছাপূর্বক এটি গোপন করে কোন কার্য করে বা করায় কিংবা কোন কার্য করার বা করাবার চেষ্টা করে, তাহলে সে ব্যক্তি উক্ত কার্য অনুষ্ঠানে প্ররোচনা দেয় বলে বিবেচিত হয়।


ক একজন সরকারি অফিসার। ঙ-কে গ্রেফতার করার জন্য তাকে একটি পরোয়ানার মারফত আদালত হতে ক্ষমতা দেয়া হয়। খ এ বিষয়টি অবগত হয় এবং গ যে ঙ নয় সে সম্পর্কে অবহিত থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছাপূর্বক ক-এর কাছে গ-কে ঙ বলে পরিচয় দেয় এবং এভাবে ইচ্ছাপূর্বক ক-কে দিয়ে গ-কে গ্রেফতার করায়। এই ক্ষেত্রে খ প্ররোচনা অনুষ্ঠানে সাহায্য করেছে বলে কথিত হয়।


তফসিলের দ্বিতীয় অংশ দেওয়ানী মামলাসমূহ: ২০০৬ সালের গ্রাম


আদালত আইনের ধারা ৩-এ বর্ণিত তফসিলের দ্বিতীয় অংশে যে দেওয়ানী মামলাসমূহের কথা বলা হয়েছে তা নিম্নরূপ:


১। কোন চুক্তি, রসিদ বা অন্য কোন দলিলমূলে প্রাপ্য অর্থ আদায়ের জন্য মামলা;


২। কোন অস্থাবর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার বা তার মূল্য আদায়ের জন্য মামলা।


৩। স্থাবর সম্পত্তি বেদখল হওয়ার এক বছরের মধ্যে তার দখল পুনরুদ্ধারের মামলা;


৪। কোন অস্থাবর সম্পত্তির জবর দখল বা ক্ষতি করার জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য মামলা;


৫। গবাদিপশু অনধিকার প্রবেশের কারণে ক্ষতিপূরণের মামলা;


৬। কৃষি শ্রমিকদেরকে পরিশোধ্য মজুরি ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা।


বিশ্লেষণ


১। প্রতিপাদ্য বিষয়;


২। কতিপয় নজির।


১। প্রতিপাদ্য বিষয়: উপরিউক্ত বিষয়ে যখন দাবিকৃত অর্থের পরিমাণ


অথবা অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য অথবা অপরাধ সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পত্তির মূল্য অনধিক পঁচিশ হাজার টাকা হবে, তখনই এ জাতীয় দেওয়ানী মামলাসমূহ গ্রাম আদালতের বিচার্য হিসেবে বিবেচিত হবে।


২। কতিপয় নজির: (১) 'চুক্তি' শব্দটির সংজ্ঞা এ আইনে সীমাবদ্ধ করা হয় নি। তাই এটি হতে পারে মৌখিক ও লিখিত চুক্তির শব্দটির দু'ই।১


(২) স্থাবর সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ্ব ৫,০০০ টাকা (বর্তমানে ২৫,০০০) টাকা হয় তবে দখল উদ্ধারের মামলা বিচার করার ক্ষমতা দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ার বহির্ভূত। এটি গ্রাম আদালতের একক এখতিয়ারভুক্ত। ২


(৩) অপরপক্ষ গ্রাম আদালতে হাজির না হয়ে এবং তার প্রতিনিধি মনোনয়ন না করলে স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে ১,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণের মামলার একতরফা ডিক্রি দিলে আইনের ধারা ৩(১) (খ) ও ৫(৪) (খ) ধারা সংঘটিত হয়। সুতরাং


উক্ত একতরফা ডিক্রিও এখতিয়ার বহির্ভূত হয়। ৩


(ক) মাসিক ভাড়া চুক্তি মূলে দেয়া হয়। সুতরাং, স্বত্বের প্রশ্ন জড়িত না থাকলে উক্ত টাকা আদালতের জন্য সালিসী আদালতে মামলা গ্রহণ করে তৎসহ ডিক্রি দিতে পারে। ৪




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url