সূরা আল যিলযাল বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ শানে নুযূল ও ফজিলত

 সূরা আল যিলযাল বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ শানে নুযূল ও ফজিলত বিস্তারিত আজ এই আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হলো 

সূরা আল যিলযাল

বাংলা উচ্চারণ: ১. ইযা যুলযিলাতিল আরদু যিলযালাহা ২. ওয়া আখরাজাতি আরদু আছকালাহা, ৩. ওয়া কালাল ইনসানু মালাহা, ৪. ইয়াওমায়িযিন তুহাদ্দিসু আখবারাহা, ৫. বিআন্না রাব্বাকা আওহা লাহা ৬. ইয়াওমায়িযি ইঁয়াসদুরুন্নাসু আশতাতাল্লিইউরাও আ'মালাহুম ৭. ফামাই ইঁয়ামাল মিছকালা যারাতিন খাইরাইঁ ইয়ারাহ্ ৮. ওয়া মাইঁয়ামাল মিছকালা যাররাতিন শাররাইয়ারাহ্।

অর্থ সমূহ 

১. পৃথিবী যখন ভূমিকম্পে প্রকম্পিত হবে, ২. পৃথিবী তার সমুদয় অভ্যন্তরীণ বোঝা বের করে দেবে, ৩. এবং মানুষ বলবে, এর (পৃথিবী) কি হয়েছে? ৪ সেদিন সে তার ঘটনাগুলো বর্ণনা করবে। ৫. কারণ, তোমার প্রভু তাকে আদেশ করবেন। ৬. মানুষ সেদিন ভিন্ন ভিন্ন দলে বের হবে, কারণ তাদের কৃতকর্মসমূহ তাদেরকে দেখানো হবে। ৭. অনন্তর যে ব্যক্তি অণু পরিমাণ ভাল কাজ করবে, সে তাও দেখতে পাবে। ৮. আর যে ব্যক্তি অণু পরিমাণ খারাপ কাজ করবে, সেও তা দেখতে পাবে।

আরো পড়ুন: সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা উচ্চারণ অর্থ সহ ফজিলত

শানে নুযুল

 যিলযাল অর্থ-কম্পন বা ভূমিকম্প। ধ্বংসের পূর্বে পৃথিবী বারবার প্রকম্পিত হবে এবং পৃথিবীর অন্তরস্থ সোনা, রূপা, লোহা, কয়লা ইত্যাদি খনিজ পদার্থগুলো বের হয়ে পড়বে। তখন মহাপ্রলয়ের বিভীষিকায় আতংকগ্রস্ত মানবজাতি বলতে থাকবে, এখন পৃথিবীর কি হয়েছে যে, সে তার আভ্যন্তরীণ সমুদয় সম্পদ বের করে দিচ্ছে? তাছাড়া, সে সময়ে কেহ দান-খয়রাত করতে চাইবে না, এবং তারা ছোট ছোট গোনাহ করে বলবে, ছোট ছোট গোনাহ করলে কোন ক্ষতি নেই, এতে কোন শাস্তি হবে না। বরং বড় বড় গোনাহ করলেই তো শাস্তি হবে।


এ ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীর ধন-সম্পদের লোভ-লালসা বর্জন করে সৎ ভাবে জীবন-যাপনের প্রতি ইংগিত দিয়ে এ সূরাটি নাযিল হয়। এ সূরাহটি যখন অবতীর্ণ হল তখন হযরত আবু বকর (রাঃ) কাঁদতে লাগলেন। নবী করিম (সঃ) তাঁকে ক্রন্দনের হেতু জিজ্ঞেস করলে তিনি তদুত্তরে বললেন, এ সূরার মহাপ্রলয়ের দৃশ্য তাকে কাঁদিয়েছে। তখন নবী করিম (সঃ) বললেন, ছোট খাট গোনাহের কারণে সংসারে বিপদাপদ আসে। আর অল্প অল্প গোনাহ একত্রিত হয়ে বিরাট বা পাহাড় সমতুল্য হয়। অতএব সর্ব প্রকার গোনাহ থেকে বিরত থাকা উচিত।

আরো পড়ুন: সূরা আল-ইমরানের শেষ এগারোটি আয়াত বাংলা উচ্চারণ অর্থ সহ বিস্তারিত

ফযীলত

১. সালাতুত তাসবীহ নামাযের ১ম রাকআতে এ সূরাহটি ৮ বার পড়লে অশেষ পুণ্য লাভ করা যায়। ২. এ সূরাহ বিসমিল্লাহসহ আমল করলে বাতে পঙ্গু রোগী পক্ষাঘাত ও আরাম পায় এবং রোগ থেকে মুক্তি লাভ করে। ৩. এ সূরাহকে কোরআনর মাদীদের অর্ধাংশ বলা হয়। অর্থাৎ যে ব্যক্তি এ সূরা পাঠ করবে সে অর্ধেক কোরআন তিলাওয়াতের সমপরিমাণ পূর্ণ পাওয়া যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url