কিসমিস এর উপকারিতা পুষ্টিগুণ ও অপকারিতা

 কিসমিস ফল হলো একটি ছোট মোটামুটি গোলাকার ফল, যা সাধারণত শুকানো অবস্থায় পাওয়া যায়। এই ফলটি বিভিন্ন উপাদানে মিষ্টি এবং সাদা স্বাদ প্রদান করে। অনেক সময় এটি ভালুকা ফল নামেও পরিচিত। কিসমিস ফলের মোটামুটি আকার একটি আদান-প্রদান সম্পূর্ণ ফল বাচার জন্য এটি একটি গভীর বহুশাখা ফল। এটি বিশেষ করে উত্তর এশিয়া এবং ইউরোপে সম্পৃক্ত ফল। কিসমিস ফলে অনেক উচ্চ প্রমাণে বিভিন্ন পুষ্টি প্রদান করা হয়, যেমন বিটামিন এ এবং সি, ফোলেট, পটাশিয়াম, আয়োডিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, আর অন্যান্য পুষ্টিগুণ।


কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা 

কিসমিসের খাওয়া অনেক উপকারিতা রয়েছে। এই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফলটি তাত্ক্ষণিক শক্তি উন্নত করে, স্বাস্থ্যকর এবং মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। কিসমিসের খাওয়া উপকারিতাগুলি নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

  1. পুষ্টিকর: কিসমিসে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার, আমিনো অ্যাসিড, খনিজ, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ক রয়েছে, যা পুষ্টিগত সম্পদের সরবরাহ করে।


  2. স্বাস্থ্যকর: কিসমিসে মিথাই খাবারের মতো মিষ্টি রস ও পুষ্টিকর গুণ রয়েছে, তবে তাতে শুগারের পরিমাণ কম থাকায় স্বাস্থ্যের জন্য এটি উপকারী।


  3. হাড়ের জন্য ভালো: কিসমিসে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও বিটামিন ক থাকায়, এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।


  4. গতিসীলতা বৃদ্ধি: কিসমিসে রয়েছে মিথাই খাবারের মতো শক্তির উৎস হিসাবে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, যা দ্রুত শরীরের শক্তি সরবরাহ করে।


  5. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: কিসমিসে শুগারের পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি উপকারী হতে পারে।

এগুলি কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা এবং গুণাবলীর মাত্রার উপর নির্ভর করে। তবে, মনে রাখতে হবে যে কিসমিসের অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া অথবা যে কোনও খাবারের অতিরিক্ত সেবন সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই সম্মান্য পরিমাণে ও সম্মান্য সময়ে কিসমিসের সেবন করা উচিত।

আরো পড়ুনঃ গরুর মাংসের বারবিকিউ কাবাব সহজে তৈরির রেসিপি

কিসমিস এর  পুষ্টিগুণ

কিসমিসের পুষ্টি গুণগুণ অনেকগুলো রয়েছে, যা নিম্নলিখিত:

  1. ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ক: কিসমিস ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ক অবশ্যই থাকে, যা চক্ষু, ত্বক, এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করে।

  2. ফোলেট: ফোলেট গর্ভাবস্থার সময়ে গর্ভস্থ শিশুর নিরাপত্তা ও উন্নত উন্নত প্রতিরোধশীলতা বাড়ায়।

  3. প্রোটিন: কিসমিসে প্রোটিন থাকা তারমতো শরীরের পোষণের প্রয়োজনীয়।

  4. ক্যালসিয়াম ও আয়োডিন: ক্যালসিয়াম অস্থিকাষ্ট বানানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং আয়োডিন স্বাস্থ্যকর থাইরোইড কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

  5. আন্টিঅক্সিডেন্ট: কিসমিস আন্টিঅক্সিডেন্ট যা মুক্তি দেয় ক্যান্সার এবং হৃদরোগের ঝুঁকি নির্ধারণে সহায়ক।

  6. আইরন: আইরন শরীরে অক্সিজেন পরিবহনে সহায়ক হয় এবং অ্যানেমিয়া প্রতিরোধে সহায়ক।

  7. ফাইবার: কিসমিস ফাইবারের ভালো উৎস, যা পেটের ক্ষতি প্রতিরোধে এবং ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়াও, কিসমিস উচ্চ শক্তি এবং পুরোপুরি নিরামিষ খাদ্য, যা শরীরের পোষণের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।

আরো পড়ুনঃ চিংড়ি মাছের বিরিয়ানি তৈরির সহজ রেসিপি

কিসমিস এর অপকারিতা

কিসমিস একটি স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিগ্রহণযোগ্য খাদ্য হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া অথবা যার সঙ্গে অপকারিতা সংঘটিত হতে পারে। কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা নিম্নরূপ:

  1. অতিরিক্ত শুগার: কিসমিসে প্রাকৃতিক শুগার আছে, তবে এর অতিরিক্ত খাওয়া ডায়াবেটিস বা অন্যান্য শুগার সংক্রান্ত সমস্যা বাড়ায়।

  2. প্রস্তুতশীলতা: কিসমিসে প্রস্তুতশীলতা অনেক সময় সংঘটিত হয়, যা ব্যাকটেরিয়া এবং ফাংগাসের প্রকোপ বাড়ায়। তার ফলে পেটের সমস্যা হতে পারে।

  3. অতিরিক্ত ক্যালরি: কিসমিসে অতিরিক্ত ক্যালরি থাকতে পারে, যা অতিরিক্ত ওজন বা চর্বির উৎস হিসেবে প্রভাব ফেলতে পারে।

  4. চোখের সমস্যা: কিসমিসে অধিক করে ভিটামিন এ থাকার কারণে অতিরিক্ত খাওয়া চোখের সমস্যা বা অন্যান্য চক্ষু সমস্যার জন্য বিপদের সৃষ্টি করতে পারে।

  5. পেটের সমস্যা: কিসমিসে অতিরিক্ত ফাইবার থাকা অত্যন্ত পেটের অবস্থা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন পেট ফুলে যাওয়া, ব্যাথা, গ্যাস ইত্যাদি।

  6. অ্যালার্জি: কিসমিসে অ্যালার্জি থাকলে অতিরিক্ত খাওয়া আনফিতিমা বা অন্যান্য অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

সুতরাং, মাত্রা নির্ধারণ করে স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিগ্রহণযোগ্য প্রমাণে কিসমিস খাওয়া উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url