অতুল প্রসাদ সেন কে - অতুল প্রসাদ সেন এর জীবনী

আসসালামু আলাইকুম! আপনি কি অতুল প্রসাদ সেন কে কিংবা অতুল প্রসাদ সেন এর জীবনী সম্পর্কে জানেন? এই পোস্টে অতুল প্রসাদ সেন কে ও অতুল প্রসাদ সেন এর জীবনী সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই অতুল প্রসাদ সেন কে এবং অতুল প্রসাদ সেন এর জীবনী সম্পর্কে জানতে পোস্টটি পড়ুন। 

এছাড়াও আরো জানতে পারবেন অতুল প্রসাদ সেন গান ও অতুল প্রসাদ সেন এর কবিতা এবং অতুল প্রসাদ সেন অবদান নিয়ে আলোচনা করা হবে। যারা অতুল প্রসাদ সেন কে কিংবা অতুল প্রসাদ সেন এর জীবনী সহ অন্যান্য বিষয়ে জানতে চান তাদের জন্য পোস্টটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অতুল প্রসাদ সেন কে কিংবা অতুল প্রসাদ সেন এর জীবনী সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তো অতুল প্রসাদ সেন কে কিংবা অতুল প্রসাদ সেন এর জীবনী সহ অন্যান্য বিষয় সম্পর্কিত পোস্টটি শুরু করি।

সূচিপত্র: অতুল প্রসাদ সেন কে - অতুল প্রসাদ সেন এর জীবনী

অতুল প্রসাদ সেন কে - অতুল প্রসাদ সেন এর জীবনী

আপনাকে যদি জিগ্যেস করা হয় অতুল প্রসাদ সেন কে বা অতুল প্রসাদ সেন এর জীবনী সম্পর্কে বলতে, নিশ্চয়ই আপনি ভাবনায় পরে যাবেন। কেননা আমরা বেশির ভাগই অতুল প্রসাদ সেন কে বা অতুল প্রসাদ সেন এর জীবনী সম্পর্কে জানি না। কিন্তু তিনি এমননই একজন ব্যক্তি যার কথা বিভিন্ন পরীক্ষায় আসে। তই আমাদের জেনে রাখা উচিত যে অতুল প্রসাদ সেন কে ও অতুল প্রসাদ সেন এর জীবনী সম্পর্কে। যারা অতুল প্রসাদ সেন কে ও অতুল প্রসাদ সেন এর জীবনী জানেন না তাদের জন্য পাঠটা গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নিই অতুল প্রসাদ সেন কে এবং অতুল প্রসাদ সেন এর জীবনী সম্পর্কে। 
অতুল প্রসাদ এর জন্ম ২০ অক্টোবর ১৮৭১ সালে ঢাকার মাতুলালয়ে। অতুল প্রসাদ সেন ছিলেন ভারত বর্ষের ঊনবিংশ শতাব্দীর আবির্ভুত একজন বিশিষ্ট বাঙালি গীতিকার, সুরকার ও গায়ক। তিনি আবার সঙ্গীতবিদ ছিলেন। তার পেশা ছিল মূলত কবি ও সঙ্গিতস্রষ্টা। তিনি তার জীবনে অসংখ্য খ্যাতি অর্জন করে। তিনি বঙ্গ সাহিত্য সম্মিলন প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা ছিল। তিনি ১৮৯০ সালে প্রবেশিকা পাশ করে ও পরবর্তীতে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যয়ন করে। 

পরবর্তীতে লন্ডনে গিয়ে আইন শিক্ষায় ব্রত হন। ১৮৯২ সালে তার মামাতো বোনের সাথে প্রেম হয় ১৯০০ সালে তাকে বিয়ে করেন। তারপরে তার ২টি সন্তান হয় ও একটি সন্তান এর অকাল মৃত্যু ঘটে। আইন পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়ে ১৮৯৪ সালে  ফিরে আসে এবং রংপুর ও কলকাতায় অনুশীলন সে সন্তান কে নিয়েই সহধর্মিণী সহ। সেখানে তার মায়ে সাথে স্ত্রীর শুরু হয়েছে অবাধ ঝগড়া। যার পরিণতিতে একসময় তার স্ত্রী তার ঘর ছেড়ে চলে যান। তিনি মৃত্যুবরণ করে ২৬ আগস্ট ১৯৩৪ সালে। 

অতুল প্রসাদ সেন গান

অতুল প্রসাদ সেন ছিলেন মূলত কবি সঙ্গীতস্রষ্টা। তিনি তার জীবনের প্রায়ই পার করেছে সঙ্গীত এর মাধ্যমে। অতুল প্রসাদ সেন গান রচনা করেই বহু খ্যাতি অর্জন করে। অতুল প্রসাদ সেন গান অনেক রয়েছে। তার গানের মধ্যে মূলত দেশপ্রেম এর ভাব বেশি লক্ষ্য করা যায়। তিনি তার জীবনে প্রায়ই ২০০ মতো গান রচনা করেন। তার রচিত গানের মধ্যে 'উঠগো ভারতলক্ষ্মী' অন্যতম। তার গান গুলো সংকলিত হয় 'কয়েকটি গান' ও 'গীতিগুঞ্জ' সংকলনে। আর গানের স্বরলিপি প্রকাশ করতেন কাকলি নামক গ্রন্থমালায়। এছাড়া অতুল প্রসাদ সেন এর কবিতা রয়েছে যা নিচে আলোচনা করা হবে।

অতুল প্রসাদ সেন এর কবিতা

অতুল প্রসাদ সেন তার জীবনকে রঞ্জিত করেছে মূলত কবিতার মাধ্যমে। তিনি তার জীবনে অসংখ্য কবিতা রচনা করে। অতুল প্রসাদ সেন এর কবিতা গুলোর মধ্যে তিনটি কবিত অনেক বিখ্যাত। কবিতা গুলোর নাম হলো- নীচুর কাছে নীচু হলে শিখলি নারে মন, জল বলে চল মোর সাথে চল ও বাংলা ভাষা। পাশাপাশি তিনি হও ধরমেতে ধীর, বল বল বল সবে, এরকম আরো অনেক কবিতা রচনা করে। 
এছাড়া তার অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত কবিতা রয়েছে যা থেকে তিনি অনেক সুনাম অর্জন করেন। তার পুরো জীবনটাই তিনি এসব রচনা কটতে গিয়ে কাটিয়েছেন। তাকে মানুষ কবি হিসেবেও অ্যাখ্যায়িত করতো। তার কবিতা গুলো এখনো বাংলার বুকে বিখ্যাত হয়ে রয়েছে। বিভিন্ন লাইব্রেরিতেও তার কবিতার বই গুলো পাওয়া যায়। পাশাপাশি অতুল প্রসাদ সেন অবদান সম্পর্কে জানতে নিচের পাঠ লক্ষ্য করুন।

অতুল প্রসাদ সেন অবদান

অতুল প্রসাদ সেন তার জীবনে শুধু যে কবিতা ও সঙ্গীত রচনা করেন তা কিন্তু নয়। পাশাপাশি নানা কর্মে তার অবদানও ছিল। অতুল প্রসাদ সেন অবদান গুলো হলো তার হাত ধরেই বাংলায় শাস্ত্রী সঙ্গীতের প্রবেশ ঘটে। পাশাপাশি কীর্তন, রামপ্রসাদী, ভাটিয়ালি প্রভৃতি গান রচনা করে বাংলা সংগীত কে শীর্ষে পৌঁছানোর গতি এনে দিয়েছিলেন। তিনি বঙ্গ সাহিত্য (বর্তমান নিখিল ভারত) সম্মিলন প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা ছিল। তার অবদান গুলো তাকে মহামান্য স্থানে তুলে এনেছে। 

অতুল প্রসাদ সেন কে - অতুল প্রসাদ সেন এর জীবনী: শেষকথা 

অতুল প্রসাদ হলো একজন বিখ্যাত কবি ও সঙ্গীতস্রষ্টা। তার জীবনী সম্পর্কে আমরা আজকের পোস্টে আলোচনা করেছি। যারা তার বিষয়ে জানেন না তাদের জন্য এই আর্টিকেল টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা তার সম্পর্কে বিভিন্ন পরীক্ষার মধ্যেে প্রশ্ন এসে থাকে। তাই অবশ্যই মনোযোগ সহকারে আজকের আর্টিকেল টি পড়ুন। তাহলে তার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন। 
আশা করি আজকের পোস্ট টি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। প্রতিদিন এমন ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। 18801 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url